পাবনায় ১৩ গরু চোরকে ৪ গরুসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা: পাবনা ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থানে ১৭ আগস্ট টানা ১৫ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান-১২ সিপিসি-২ পাবনা ক্যাম্পের একটি অপারেশন টিম আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের প্রধান সহযোগী আব্দুর রহিম মোল্লাসহ আরও ১২ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ৪ টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি দেশের বিভিন্ন জেলায় গবাদী পশু চুরি করে। এদের মধ্যে কয়েকজন চুরির স্থান নির্ধারণ করে, কয়েকজন চোরাই গরু ট্রাকে করে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় স্থানান্তর করে এবং অন্যরা চোরাই গরু বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্ত থাকে।

র‌্যাবের দাবী, দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃজেলা এই চোর চক্রকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে নজরদারীতে রাখে র‌্যাব। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিত্বে জানতে পারে, গরু চোর চক্রের মূল হোতা আব্দুর রহিম মোল্লার নেতৃত্বে চোরাই চক্রের বেশ কয়েকজন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে গরু চুরি করে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন অ লে লুকিয়ে রেখে পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি ভাড়া বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে। এ তথ্যে র‌্যাব সদস্যরা প্রথমে ঈশ্বরদী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার মরিচা ইউনিয়নের কাশিয়ানী থেকে ৪ টি চোরাই গরু উদ্ধার করে। আসামীদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কাশিয়ানী থেকে চুরি যাওয়া গরু ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করা গরু হাত বদলের মাধ্যমে অন্যত্র চলে গেছে।

গরু চোরদের দেয়া তথ্যে র‌্যাব জানায়, এই গরু চুরির সাথে কয়েকটি চক্রের যোগসূত্র রয়েছে। চোরেরা অধিকাংশর বাড়ি ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর বিভিন্ন উপজেলাতে। তারা গোপালগঞ্জ ছাড়াও আশপাশের নড়াইল, যশোর, মাগুড়া, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দীর্ঘদিন ধরেই প্রান্তিক খামারী ও কৃষকদের বসতবাড়ি থেকে গরু চুরি করে থাকে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর তাদের থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!