পাবনা-২ আসনে দৃষ্টি আহমেদ ফিরোজ কবিরের দিকে
সুজানগর (পাবনা) সংবাদদাতা: পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়া) আসনে আওয়ামী লীগের ১৬জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন।
ইতোমধ্যে প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে দলীয় মনোনয়ন পাবার আশায় দলের হাই-কমান্ডের সাথে জোর লবিং শুরু করে দিয়েছেন। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাধারণ ভোটার এবং রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিদের দৃষ্টি মনোনয়ন প্রত্যাশী পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুজানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ ফিরোজ কবিরের দিকে।
উপজেলার মালিফা গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থক সাধারণ ভোটার শমসের আলী বলেন আহমেদ ফিরোজ কবির একজন সৎ এবং গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের মতো অতিসাধারণ মানুষ। তিনি মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হলে আমরা সাধারণ মানুষ যেকোন সমস্য নিয়ে সরাসরি তার কাছে যেতে পারবো। সুতরাং আমরা চাই তিনি যেন মনোনয়ন পান। উপজেলার বোনকোলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দারোগ আলী বলেন আহমেদ ফিরোজ কবির তার বাবা প্রয়াত এমপি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আহমেদ তফিজ উদ্দিন মাস্টারের মতো আওয়ামী লীগের জন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ এবং ক্লিন ইমেজের নেতা। তাছাড়া তিনি গ্রুপিং পলিটিকস্’র সাথেও জড়িত নেই।
সেকারণে নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সাথে তার অত্যন্ত সু-সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই এ আসনে আহমেদ ফিরোজ কবিরই নৌকার যোগ্য মাঝি। সুজানগর পৌরসভার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাজনৈতিক সচেত ব্যক্তি বলেন এ আসনে বিএনপির একাধিক হ্যাবিওয়েট প্রার্থী রয়েছে। তাছাড়া মনে হচ্ছে আসন্ন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কাজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করে বিএনপির হ্যাবিওয়েট প্রার্থীকে পরাজিত করতে হলে আহমেদ ফিরোজ কবিরের কোন বিকল্প নেই।
একই কথা বললেন উপজেলার হাটখালী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবর রহমান। তিনি বলেন আহমেদ ফিরোজ কবির ২০০৯ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দুর্নীতিকে শতভাগ না করে পাঁচ বছর সততা এবং নিষ্ঠার সাথে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এতে তার প্রতি উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের আস্থা এবং ভালবাসা সৃষ্টি হয়। সুতরাং এ আসনে আহমেদ ফিরোজ কবির মনোনয়ন পেলে নৌকার জয় অবধারিত।