পাবনা-৩ আসনে মুখোমুখী ওস্তাদ-সাগরেদ মকবুল-আনোয়ার
খাইরুল ইসলাম বাসিদ : পাবনার চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় পাবনা-৩ আসনে প্রায় দেড়যুগ পর ২য়বার মুখোমুখী হচ্ছেন বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন ও সাবেক সাংসদ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম। দু’জনই আবার ওস্তাদ-সাগরেদ। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সাংসদ মকবুল হোসেন (নৌকা) অপরজন বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোট-ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী (ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে লড়বেন। বর্তমান ও সাবেক এমপির মধ্যে জমবে ভোটের লড়াই বলছেন ভোটাররা।
পাবনা-৩ আসনে আরো ২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পার্টির আব্দুল মুত্তালিব (হাতপাখা) ও গণতন্ত্রী পার্টির খায়রুল আলম (কবুতর)।
নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর পরই প্রার্থীদের প্রতীক শোভা পাচ্ছে। তারা বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা, অলি-গলিতে দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ইউনিয়ন ওয়ারী গণসংযোগ, মতবিনিময় ও পথসভা করে নৌকা ও ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করছেন। উভয় দলের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে।
পাবনা-৩ চাটমোহর এলাকার ভোটার শহিদুল ইসলাম বলেন, এই সরকারের আমলে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও এই এলাকায় উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। তাই এবার সৎ, যোগ্য প্রার্থী দেখে তারা ভোট দেবেন বলে জানান।
চাটমোহর এলাকার ভোটার আলমঙ্গীর হোসেন বলেন, তিনটি উপজেলা নিয়ে এই আসন হলেও ফরিদপুর ও ভাঙ্গুড়া মিলে সমান সংখ্যক ভোট চাটমোহর উপজেলায় কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত ভাঙ্গুড়া উপজেলা থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় চাটমোহর এলাকার উন্নয়ন ও সাধারণ ভোটারদের তিনি খোঁজ নেন না। তাই চাটমোহর এলাকার ভোটাররা এবার দলমত নির্বিশেষে চাটমোহর এলাকার প্রার্থীকে ভোট দেবেন বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ২০০১ সালে আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন প্রথমবার মনোনয়ন পেয়ে কে এম আনোয়ারুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন। সেই নির্বাচনে কে এম আনোয়ারুল ইসলাম পেয়েছিলেন ১ লাখ ৩১ হাজার ২৯৪ ভোট। মো. মকবুল হোসেন পেয়েছিলেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৯৪ ভোট।
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) সাইফুল আযম সুজাকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের মকবুল হোসেন এমপি নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালে অনেকটা বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত হন মকবুল হোসেন। এবার ২য়বার মুখোমুখী হচ্ছেন আনোয়ার ও মকবুল। দু’জনেই আবার ওস্তাদ-সাগরেদ। আনোয়ারুল ইসলামকে ওস্তাদ বলে সম্বোধন করেন মকবুল হোসেন। দু’জনেই এরশাদ সরকারের আমলে চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলায় জাতীয় পার্টির উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।
পাবনা-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৯১ হাজার ৫শ ৫৪। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮শ ৩১ এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭শ ২৩ জন।