পাবনা-৪ (অাটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) আসনে নৌকার মাঝি হতে চান মেজর জেনারেল (অব:) নজরুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান মেজর জেনারেল (অব.) নজরুল ইসলাম রবি ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক। দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন তিনি। নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, পথসভার মাধ্যমে জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। জনসাধারণের কাছে তুলে ধরছেন বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড। এর মাধ্যমে তৃণমূলে দলকে শক্তিশালী করছেন তিনি।
জানা গেছে, বার বার ঈশ্বরদী থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হলেও আটঘরিয়া সব সময় থেকে যায় অবহেলীত। তাই এবার এই আসনে আটঘরিয়া উপজেলাতে তার জন্মস্থান হওয়ায় তিনি এলাকায় গণসংযোগ, পথসভার মাধ্যমে জনগণের কাছে খুব অল্প সময়েই পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।
মেজর জেনারেল (অব.) নজরুল ইসলাম রবি বলেন, জীবনের ৩৪ বছর আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছি। দেশের মানুষের নিরাপত্তা, সেবা এবং ভূখন্ড রক্ষার প্রত্যয়ে কেটেছে আমার সময়। রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য জনগণ ও দেশের কল্যাণ করা। সে আঙ্গিকে একই সাহসে কেবল ভিন্ন পথে সেবার জন্য রাজনীতিতে এসেছি।
কেন নির্বাচন করতে চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির মনোনয়ন চাই। আমি এলাকার মানুষের জন্য যে কাজগুলো করেছি এবং করে যাচ্ছি সেগুলো যেন আরও বড় আকারে সবার জন্য করতে পারি তাই এই মনোনয়ন প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, পাবনার-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকায় আমার জন্ম। এখানেই আমার বেড়ে ওঠা। সব মিলিয়ে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া অঞ্চলের প্রতি আমার আলাদা একটা মমত্ববোধ কাজ করে। সে কারণে আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিজ্ঞ ও সদয় সিদ্ধান্ত চাই। আমি মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হয়ে এলাকার সুশাসন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ আঞ্চলিক মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন করতে চাই।
মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের জন্য কী করবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রথমত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য রূপপুর তথা ঈশ্বরদী বিশ্বে পরিচিত একটি নাম। সংবেদনশীল এই স্থাপনা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের কারনে এ অঞ্চলের গুরুত্ব অনেক বেশি। এ অঞ্চলের মর্যাদা যাতে ক্ষুন্ন না হয় সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকব।
এ ছাড়াও ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া অঞ্চল কৃষি প্রধান অঞ্চল। সঠিক সংরক্ষণের অভাবে এ অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। আমি মনোনয়ন পেয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে এ অঞ্চলে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করব।