পাবনা-৪ উপনির্বাচন : আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ২ প্রার্থীর তথ্য বিভ্রাটের অভিযোগ!
পিপ (পাবনা) : আসন্ন পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট মো: রবিউল আলম বুদু ও ব্যারিস্টার মো: সৈয়দ আলীর দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের দলীয় তথ্যের সাথে অমিল থাকায় দলীয় অঙ্গনে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবী করছে, এডভোকেট মো: রবিউল আলম বুদু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় ১৯৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবী করেছেন।
অন্যদিকে ব্যারিস্টার মো: সৈয়দ আলী দাখিলকৃত দলীয় মনোনয়নপত্রে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবী করছেন, ওই সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কোন পদ পদবীতে ছিলেন না। সে সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের পঞ্চম বিল্ডিংয়ের একটিতে ব্লকের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহসভাপতি ও বঙ্গবন্ধু হলের আহবায়ক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রবিউল আলম বুদু ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। আর মো: সৈয়দ আলী জিরু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের একটি ব্লকের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেন, মনোনয়ন পেতে যদি মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করা হয়, তাহলে এটা বড়ই দুঃখজনক ব্যাপার।
এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার মো: সৈয়দ আলী জিরু বলেন, আমার মনোনয়ন ফর্মটি আমার এক বন্ধু পূরণ করেছে। আমি বুঝতে পারিনি। তাছাড়া আমি পড়ে দেখে সংশোধনী জমা দিয়েছি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কমিটি আলোর মুখ দেখেনি। প্রস্তাবিত সভাপতি লেখা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা না লেখায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
আর এডভোকেট মো: রবিউল আলম বুদুর সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস বলেন, আমি নিজেও আমার গ্রামের বাড়িতে অবস্থানকালে রবিউল আলম বুদুর একটি অনুষ্ঠানের মাইকে প্রচার করতে শুনেছি। সেখানেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পদপদবি নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এই মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করাটা কোন অবস্থায় ঠিক হচ্ছে না।
এদিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রকৌশলী আব্দুল আলীম বলেন, জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সংসদ সদস্যর মনোনয়ন নেয়া মানে দেশ বিক্রির পাঁয়তারা করা। তথ্য বিভ্রাট করে অভিযুক্তরা গুরুতর অপরাধ করেছেন। দলীয় ভাবেই তাদের শাস্তির আওতায় আনা দরকার।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।