ফর্টিফাইড রাইস পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করবে
স্বাস্থ্য: চালের সঙ্গে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান মিশ্রনে তৈরি ‘ফর্টিফাইড রাইস’ বা ‘পুষ্টি সমৃদ্ধি চাল’ দেশের জনগোষ্ঠির পুষ্টি ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন খাদ্য ও পুষ্টি সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘স্কেলিং আপ রাইস ফর্টিফিকেশন: রেগুলেশন অ্যান্ড মনিটরিং’ শীর্ষক কর্মশালায় ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের একটি গবেষণা থেকে তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয় শক্তির ৭০ শতাংশ জোগান আসে ভাত থেকে।
ভাত বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য উল্লেখ করে সেমিনারে আলোচকরা বলেন, ঐহিত্যগতভাবে ভাত নির্ভর খাদ্যাভাসের কারণে এই ফর্টিফাইড রাইস মানুষের অপুষ্টি ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, “এই রাইস ফর্টিফিকেশনের মাধ্যমে তৃণমূলের মানুষদের পুষ্টির ঘাটতি দূর করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ফলে পোলিওসহ অন্যান্য মারাত্মক পুষ্টি ঘাটতিজনিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।”
তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা যদিও প্রাকৃতিক খাবারের ওপর জোর দিয়ে থাকেন তবে আমরা সবদিক মাথায় রেখে চালের সাথে ফর্টিফিকেশনকে সমর্থন করি।”
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক বলেন, “ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ফর্টিফাইড রাইস কর্মসূচি আরো আগেই শুরু হয়েছে। তারা এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের জনগণের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে যাচ্ছে।
“যদিও আমাদের দেশে এই প্রক্রিয়াটা নতুন, তবে এখনই এ কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
ফর্টিফাইড রাইসের গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, এটা দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য সবচেয়ে বেশি উপকার দেবে।
এই ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধকরণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পণ্যে ভ্যাট-ট্যাক্স মুক্ত রাখতে এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের (গেইন) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসির হেড অব কো অপারেশন জেরন স্টিগস, ডব্লিউএফপির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর দীপায়ন ভট্টাচার্য্যসহ আরো অনেকে।