বাড়ছে গ্যাসের দাম
অর্থনীতি: নিত্য প্রয়োজনীয় জ¦ালানি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সব শ্রেণির গ্যাসের দাম গড়ে ৬৬ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। গৃহস্থালীতে ব্যবহূত দুই চুলার গ্যাসের বিদ্যমান দাম ৮০০ থেকে ১২শ টাকা নির্ধারণ করতে চায় তারা। প্রস্তাব অনুযায়ী, সিএনজি ও বাণিজ্য খাতের গ্যাসের দাম সবচেয়ে বেশি বাড়বে। জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে তিতাসসহ বিতরণ কোম্পানিগুলো নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির যে প্রস্তাব তারা দিয়েছিল নতুন প্রস্তাবগুলোতে তার চেয়ে কিছুটা বেশি দাম বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। কিছু বিষয় হালনাগাদ করে নতুন করে প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিগুলো। নতুন প্রস্তাবগুলোর ওপর আগামি মার্চের ১১ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিন জিটিসিএলের সঞ্চালন মাসুল বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গত বছরের মে মাসে শুনানি গ্রহণ করেছিল বিইআরসি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বর্ধিত মূল্যহার অনুযায়ী গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নির্বাচনের বছরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তখন বর্ধিত মূল্যহার ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল বিইআরসি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত আমদানি করা তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) কারণে এ খাতের ব্যয় বেড়েছে। গত বছর পেট্রোবাংলা-এক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি পাইপলাইনে যুক্ত হয়েছে। এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে সামিটের এলএনজিও পাইপলাইনে যুক্ত হবে। সব মিলিয়ে চলতি বছর ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সমতুল্য এলএনজি গ্রিডে আসবে, যা বর্তমানে দেশে উৎপাদিত গ্যাসের প্রায় এক তৃতীয়াংশ। ব্যয়বহুল এ তরলীকৃত গ্যাসের দাম সমন্বয়ের জন্যই গ্রাহক পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
বিইআরসি সূত্র জানায়, নতুন প্রস্তাবে বাসা-বাড়িতে দুই বার্নার চুলার গ্যাসের দাম ৮০০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ২০০ টাকা এবং এক বার্নারের দাম ৭৫০ থেকে বৃদ্ধি করে এক হাজার টাকার করার কথা বলা হয়েছে। আবেদন গৃহীত হলে আবাসিক ছাড়াও দাম বাড়বে বিদ্যুেকন্দ্র, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সিএনজি, শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহূত গ্যাসের দাম।