বিশ্ব কাঁপছে চক্ষুহীন করোনায়

স্পোর্টস: সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ঢুকতেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করানো হলো। সঙ্গে একটি মাস্ক ও এক জোড়া গ্লাভসও দেওয়া হলো আগন্তুক সবাইকে। বিসিবির বিভিন্ন বিভাগের ম্যানেজার, কর্মকর্তা, সাংবাদিকরা পেলেন একই জিনিস। দুপুর ১২টায় শুরু হয় বিসিবি আয়োজিত করোনা ভাইরাস বিষয়ক সেমিনার।

বিসিবির কর্মকর্তা, কর্মচারী, গ্রাউন্ডসম্যানদের সচেতন করতেই এই সেমিনার। যেখানে বক্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক চন্দন কুমার রায়। প্রথম ধাপে বিভিন্ন বিভাগের ম্যানেজার, কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য কথা বলেছেন তিনি। পরে গ্রাউন্ডসম্যানসহ অন্যদেরও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষ সেশনের মাধ্যমে। করোনা নিয়ে সবিস্তারে কথা বলেছেন এই বিশেষজ্ঞ। কক্ষের সবার মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস। সেখানেই ভুল ধরিয়ে দিয়ে চন্দন কুমার রায় বলেছেন, আপনারা যে গ্লাভস হাতে দিয়েছেন তাতে আপনার নিজের সুরক্ষার জন্য ঠিক আছে।

কিন্তু সার্বিকভাবে সবার জন্য ভালো নয়। গ্লাভস থেকে জীবাণু বিভিন্ন স্থানে লাগবে। যেটা অন্যান্যের আক্রান্ত করবে। আপনি হয়তো সুরক্ষিত থাকবেন। তাই গ্লাভস না লাগিয়ে বারবার হাত ধুয়ে পরিষ্কার রাখবেন। এমনকি মাস্কের ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল মাস্কই সবচেয়ে ভালো বলে রায় দিলেন এই বিশেষজ্ঞ। এবং সেই মাস্ক নিয়মিত পরিবর্তন করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

চক্ষুহীন করোনা কাঁপিয়ে দিয়েছে বিশ্ব। মহামারি আকার ধারণ করেছে। প্রাণঘাতী রূপ ধারণ করা করোনা ভাইরাস সম্পর্কে চন্দন কুমার রায় বলেছেন, ‘এটার চোখ নেই। চক্ষুহীন ভাইরাস। এটা মানুষ বোঝে না। ও একাকী থাকতে পারে না। তাই আমাদের কফের মধ্যে অবস্থান করে। অনেক পানি খেতে হবে। পরিষ্কার থাকতে হবে। থু থু, কাশি, কফ বাইরে না ফেলে টিসুতে ফেলবেন। এবং তা নির্দিষ্ট জায়গায় রাখবেন। কাপড়ও একদিন পর ধুয়ে ফেলবেন।’

স্বাস্থ্যকর খাদ্য সেবনের পরামর্শও দিয়েছেন এই সহযোগী অধ্যাপক। তিনি বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। ফল খাবেন। ভিটামিন ‘সি’ দরকার। যাতে করে আসলে শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে পারে।’ সার্বিকভাবে সচেতন থাকা, ভিড় এড়িয়ে চলা, নিয়মমানার মাধ্যমেই করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে বলেছেন চন্দন কুমার রায়।

কর্মীদের সুরক্ষা, তাদেরকে সচেতন করতেই এমন সেমিনার আয়োজন করেছে বিসিবি। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন এই আয়োজন নিয়ে বলেছেন, ‘এই সচেতনতায় সবাইকে সম্পৃক্ত হতে হবে বলে বোর্ড মনে করে।

সে ক্ষেত্রে আমাদের স্টাফ মেম্বার যারা আছেন, বিভিন্ন পর্যায়ে যারা আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের সঙ্গে কয়েকটা সেশন আমরা করব। যেখানে আমাদের ডাক্তাররা করোনা ভাইরাস নিয়ে কথা বলবেন। কীভাবে করোনা ভাইরাস থেকে সচেতন থাকা যায় এটা নিয়ে তারা কথা বলবেন।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!