বিয়ের ৭ দিনের মাথায় শ্বশুরের নামে ধর্ষণের অভিযোগ পত্রবধু’র
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : বিয়ের ৭ দিনের মাথায় নিজের শ্বশুরের নামে যৌন নিপীড়নের (ধর্ষণ) অভিযোগ আনলেন এক পুত্রবধু। রবিবার (১০ নভেম্বর) অভিযোগ পাওয়ার পর স্বামীসহ শ্বশুরকে ধরে থানায় এনেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার চাটমোহরের করৎকান্দি গ্রামে।
ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শ্বশুর হলেন ওই গ্রামের কৃষক আয়ুব আলী।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গেল (৪ নভেম্বর) সোমবার আয়ুব আলীর একমাত্র ছেলে সালাউদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় ভুক্তভোগীর। বিয়ের পর নাইওরে (বাবার বাড়ি) যান। অতঃপর শ্বশুরের নামে অভিযোগ দিতে থানায় যায়। ১৮ বছর বয়সী পুত্রবধুর বাবার বাড়ি একই উপজেলার শীতলাই গ্রামে।
সালাউদ্দিনও কৃষক। ছেলে ছাড়াও আয়ুব আলীর ঘরে এক মেয়ে আর স্ত্রী আছেন। তার মেয়েটিরও বিয়ে হয়েছে।
ঘটনাটি কিভাবে আর কখন ঘটলো নিশ্চিত করতে পারেনি সুত্র। পুলিশও এ বিষয়ে কিছু জানাচ্ছে না। নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এএইচএম কামরুজ্জামান খোকন বলছেন, এমন ঘটনার কথা শুনেছি। ঘটনা কিভাবে ঘটেছে তা বলতে পারবো না। ঘটনা সত্য হলে আয়ুব আলীর শাস্তি দাবি করেন তিনি। অসমর্থিত একটি সুত্রের কথায়, সালাউদ্দিনের সাথে সংসার করতে চাচ্ছেন না ভুক্তভোগী। বাবার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পর শ্বশুর বাড়ি আর ফিরে আসেননি। দেনমোহরের টাকা আদায় করতে এমন অভিযোগ এনেছেন তিনি।
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্র বলছেন, সেক্সুয়াল অ্যাসাল্টের (যৌননিপীড়ন)কারণে তিনি জরুরী বিভাগে এসেছিলেন। পরে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর (রেফার্ড) করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ওসি শেখ নাসীর উদ্দিন জানাচ্ছেন, মেয়েটি থানায় এসেছিল। অভিযোগ শোনার পর শ্বশুর ও স্বামীকে থানায় আনা হয়েছে। মেয়েটিকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে ডাক্তার তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেছে।