ভাঙ্গুড়ায় আ.লীগ ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে ভুরিভোজ
পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন উপলক্ষে গ্রামবাসিদের নিয়ে বিশাল ভুরিভোজ আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আফছার আলী মাষ্টারের বিরুদ্ধে। অন্য প্রার্থীদের অভিযোগ,তিনি নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলা রিটানিং অফিসারের কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেও কোন সুফল পাইনি বলে অভিযোগ অন্যান্য প্রার্থীরা।
একাধীক সূত্রে জানাগেছে , আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আফছার আলী মাষ্টার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা উপলক্ষে গ্রামবাসিদের আমন্ত্রণ করেন মন্ডতোষ গ্রামে তার নিজ বাড়িতে শনিবার রাতে আলোচনা সভা ও ভুরিভোজের আয়োজন করে।
শনিবার রাতে আফছার আলী মাষ্টারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার কিছু কর্মী ১‘শ কেজি চাউলের সঙ্গে মুরগির মাংস্য দিয়ে খিচুড়ি রান্না করছেন। রান্নার কাজে নিয়োজিতরা জানান, ৫শ থেকে ৬শ লোকের রান্না করা হচ্ছে। এ সময় সংবাদকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে তাতে বাঁধা দেয় প্রার্থীর ভাতিজা। এরকিছু সময় পর খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আফছার আলী মাষ্টার।
অনুষ্ঠানে আসা কয়েকজন গ্রামবাসি জানান,প্রার্থী আফছার আলী মাষ্টার নির্বাচন উপলক্ষে আলোচনা করার জন্য এলাকার সবাইকে ডেকেছেন। তাই আমরা এসেছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আফছার আলী মাষ্টার বলেন, চার বছর আগে আমার এক ভাই মারা যায়। সেই ভাইয়ের মৃত্যু বাষিক উপলক্ষ্যে মিলাত ছিল। এটা নির্বাচনী কোন মিটিং না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আফছার আলী মাষ্টার বলেন, চার বছর আগে আমার এক ভাই মারা যায়। সেই ভাইয়ের মৃত্যু বাষিক উপলক্ষ্যে মিলাত ছিল। এটা নির্বাচনী কোন মিটিং না।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগর যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর ইসলাম মিন্টু বলেন, আফছার আলী মাষ্টার মিথ্যা কথা বলছে, এত বছরে কোন দিন দেখিনি আফছার আলীর বাড়িতে তার ভাইয়ের মৃত্যু বাষিক করতে। নির্বাচনের আগে পুরো গ্রামবাসীদের ডেকে খাওয়ানো এধরনের আয়োজন মানুষের মাঝে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এবং যা নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাচন ও রিটানিং অফিসার রোকসানা নাসরিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাচন ও রিটানিং অফিসার রোকসানা নাসরিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Spread the love