ভাঙ্গুড়ায় বৃদ্ধাকে পিটিয়ে জমির ধান নিয়ে গেলে প্রতিপক্ষ
পিপ (পাবনা) : পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বড় বিশাকোল গ্রামে জোর পূর্বক রোরো ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় জমির মালিক সাবেক ইউপি সদস্য নবির উদ্দিন তার স্ত্রী সন্তানেরা বাধা দিলে তাদের মারধোর ও করা হয়। সোমবার সকালে এই ঘটনার পরে ইউপি সদস্য নবীর উদ্দিন ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১ দশমিক ৪ একর আয়তনের ঐ জমি নবির উদ্দিনের স্ত্রী সাজেদা খাতুনের পৈতিৃক সূত্রে পাওয়া এবং র্দীঘদিন যাবৎ তারাই ভোগদখল কলে আসছেন। কিন্তু গত তিন বছর ধরে সাজেদা খাতুনের বংশের কতিপয় ব্যাক্তি এই জমি দখলের চেষ্টা করে আসছেন। এদের মধ্যে শহীদ মোল্লা, নান্নু মোল্লা, সাবান মোল্লা ও সলিম মোল্লা অন্যতম।
এই বিষয় নিয়ে এর আগে কয়েক দফা সংঘর্ষও হয়েছে। এর আগেও এব্যপারে থানায় মামলাও হয়েছে। এ বছর বরাবরের ন্যায় নবীর উদ্দিন ওই জমিতে বোরো ধান আবাদ করে। সোমবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে জমির আধা পাকা ধান জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যেতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে নবীর উদ্দিন গিয়ে বাধা দিলে তাকে মারধর শুরু করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এসময় স্ত্রী সাজেদা খাতুন ও ছেলে শাহজাহান আলী নবীর নবীর উদ্দিনকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করে ধান কেটে নিয়ে যায় শহীদ মোল্লা ও নান্নু মোল্লার লোকজন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে এদিন বিকালে নবীর উদ্দিন ভাঙ্গুড়া থানায় ১৩ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোদাচ্ছের হোসেন বলেন, সোমবার জোরপূর্বক ধান কাটতে বাধা দেয়ায় ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রীকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করেছে মর্মে অভিযোগ পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করা জানা গেছে ম্পত্তি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।