ভাঙ্গুড়ায় সেনা সদস্য স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আমেনা খাতুন (২৫) নামে এক সেনা সদস্যর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু। রোববার বিকেলে উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ভেড়ামারা চরপাড়া গ্রামে তার শশুরবাড়ি এঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যায় আমেনার তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
নিহত আমেনা পার্শ¦বর্তী ফরিদপুর উপজেলার হাংড়াগাড়ী গ্রামের আমির প্রামাণিকের মেয়ে এবং ওই গ্রামের সেনা সদস্য মোঃ সোহেল রানার স্ত্রী। সোহেল রানা ঢাকা বনানী সেনানিবাসে ল্যান্স কর্পোরাল পদে কর্মরত রয়েছেন। এদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে,গত দশ বছর পূর্বে সেনা বাহিনিতে চাকরী নেওয়ার জন্য রানা একই উপজেলার রামনগর গ্রামের খয়ার সরকার মেয়ে আদুরী খাতুনকে বিবাহ করে। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। তার নাম অনিক ফয়সাল (৮)।
বিয়ের আট বছর পর প্রথম স্ত্রী আদুরী খাতুন মারা গেলে রানা পারিবারিকভাবে আমেনা খাতুনকে বিবাহ করে। বিয়ের পর তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। নিহত আমেনার সাড়েতিন বছর বয়সী সশি নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এলাকাবাসি ও নিহতের শশুরবাড়ির পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালে আমেনা ওই প্রথম স্ত্রীর সন্তান ফয়সাল ও তার কন্যাকে নিয়ে বাড়ির পাশে স্কুলের অনুষ্ঠানে যান। দুপুরে আমেনা তার কন্যা ও ননদের সাথে বাড়িতে আসে। পরে একজন প্রতিবেশী আমেনাকে তার শয়নকক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে এসে থানা পুলিশকে খবর দেয়।
নিহতের বড় ভাই জালাল উদ্দিন বলেন,দীর্ঘদিন যাবৎ আমেনাকে মিথ্যা একটি অভিযোগ দিয়ে আসছিল তার স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজন। এটা তার আত্মহত্যা নয় বরং তাকে হত্যা করে তারা ঝুলিয়ে রেখেছে।
নিহতের স্বামী সেনা সদস্য সোহেল রানা বলেন,এক ইলেকট্রিক মিক্রির সাথে আমার স্ত্রীর প্রেমের সম্পক ছিল। এই ঘটনায় আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।
ভাঙ্গুড়া থানার আফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এঘটনায় নিহতের শ্বশুর থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছে। লাশ উদ্ধার করে সকালে পাবনা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।