ভারতের বিশ্বকাপ জয়কে ছাপিয়ে সেরা বাংলাদেশের ইংল্যান্ড বধ
স্পোর্টস: বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা জয়গুলো মধ্যে অন্যতম ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বধ। এখন পর্যন্ত হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবগুলো আসরের মধ্যে সেরা মুহূর্ত কোনটি? এটা বেশ কঠিন কাজ। আইসিসি তাই বেছে নেয় অনলাইন ভোটাভুটির পথ। সেখানে ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তকে হারিয়ে সেরা হয়েছে বাংলাদেশের ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড বধের মুহূর্তটি। দর্শকদের দেয়া সেই ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ইংল্যান্ড বধের মুহূর্তটি ভোট পেয়েছে ৫১ শতাংশ।
আর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে কাঁদিয়ে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত ভোট পেয়েছে ৪৯ শতাংশ। অনলাইন ভোটের রাউন্ড অব ৬৪, ৩২, ১৬ পেরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারানোর দৃশ্যটির সঙ্গে মুখোমুখি হয় ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর মূহুর্তটি। দর্শকরা সেরা হিসেবে বেছে নেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের সেই অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে কপিল দেবের একটি ক্যাচের মুহূর্তের সঙ্গে সেমিফাইনাল রাউন্ডে লড়তে হয় বাংলাদেশকে।
উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানের উড়িয়ে মারা বল দৌড়ের মাঝেই ধরেন কপিল। সেখানেও সবচেয়ে বেশি ভোট পায় টাইগারদের সেই ইংল্যান্ড বধের মুহূর্ত। বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে ২০১৫ বিশ্বকাপে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সর্বপ্রথম বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ৩ ম্যাচ খেলে ২টি জয় এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচের এক পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছিল পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে এবং ইংল্যান্ডকে হারালেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত এমন সমীকরণ নিয়েই মাঠে নামে টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে পড়া বাংলাদেশকে টেনে তোলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহীম। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে শতরান করেন মাহমুদুল্লাহ আর মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৮৮ রান।
২৭৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে সাবধানেই এগুচ্ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ইনিংসের মাঝপথে মাশরাফি, রুবেল, তাসকিনদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৬৩ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। এরপর জস বাটলার আর ক্রিস ওকস মিলে ৭৫ রানের পার্টনারশিপ গড়লেও শেষ রক্ষা হয় নি। ৪৯ তম ওভারের প্রথম ও দ্বিতীয় বলে রুবেল হোসেনের দুটি চোখ ধাঁধানো ইয়র্কারে রচিত হয় ইংলিশবধের অমর কাব্য।
অ্যাডিলেড ওভালের ১২ হাজার দর্শককে অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশ পৌছে গিয়েছিল প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে।