মরহুম শহীদুল্লাহ’র ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ৩ ফেব্রুয়ারি পাবনার আটঘরিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শহীদুল্লাহ’র ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী|মরহুম শহীদুল্লাহ ছিলেন শিক্ষক, সাংবাদিক, সড়াবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক, বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক। মরহুম শহীদুল্লাহ, পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের বেরুয়ান গ্রামে ১৯৫১ সালে ৭ মে জন্মগ্রহন করেন। পিতার নাম মরহুম আ; ওয়াহেদ মাষ্টার, মাতা মরহুমা জ্যোতিমন নেছা।
তিনি ১৯৭১ সালে দেশকে রক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার ঊন্নয়নে কাজ করেন। তারপর খিদিরপুর শহিদ আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং পরবর্তিতে স্বনির্ভর বাংলাদেশে কিছুকাল চাকরি করেন। এলাকায় এসে বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমুলক কাজ করেন। আঘরিয়া প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার প্রায় সমসাময়িক সময় থেকে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত হন এবং একপর্যায়ে আটঘরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আটঘরিয়া উপজেলার সকল প্রোগ্রামের সঞ্চালকের ভুমিকায় সবসময় তাঁকে দেখা যেত। পাবনা পল্লী বিদ্যুত সমিতির পরিচালক হিসেবে বহুদিন দায়িত্ব পালন করেন। স্কাউটস আটঘরিয়া শাখার উন্নয়নে অভুতপুর্ব ভুমিকা পালন করেন। আমৃত্যু তিনি উপজেলা ক্রিড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অবদান সড়াবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।
১৯৯১ সালে তিনি নিজের জমি বিক্রি করে (পরবর্তিতে সব মিলে ৪/৫ বিঘা) সেই অর্থ দিয়ে সবার সহযোগিতায় সড়াবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রধান শিক্ষক হিসেবে মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন বরেন। তিনি এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সড়াবাড়িয়া বাজার মসজিদ প্রতিষ্ঠায় অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন এবং তিনিই সর্বপ্রথমে ইট দিয়ে মসজিদের কাজ উদ্বোধন করেন।
সড়াবাড়িয়া গোরস্থান, বেরুয়ান জামে মসজিদসহ এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। যুদ্ধর পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অত্র এলাকার বিভিন্ন বিচার- শালিশে, শান্তি- শৃংখলা রক্ষায় ও সামাজিক উন্নয়নমুলক সকল কাজে মুখ্য ভুমিকা পালন করতেন।
১৯৯৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল আটটার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।