মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চান চেয়ারম্যান প্রার্থী আলীম
বিশেষ প্রতিবেদক : চাটমোহরের রাজনীতিতে সবার কাছে পরিচিত মুখ। রাজপথেও সবসময় অগ্রভাগে থাকেন তিনি। ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে হামলা-মামলা আর হয়রানীর শিকার হয়েছেন বহুবার। তারপরও থেমে থাকেননি। বলছি, চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আলীমের কথা। এবারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন তিনি। দলীয়ভাবে নৌকার প্রার্থী থাকলেও, আলীম স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দোয়াত-কলম প্রতিক নিয়ে। প্রতিদিন চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। দোয়া চাইছেন সাধারণ মানুষের। তিনিও মানুষকে আশ্বাস দিচ্ছেন নির্বাচিত হলে তাদের পাশে থাকার।
আব্দুল আলীম বলেন, ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকলেও মানুষের জন্য কাজ করার মতো মানুষ নেই। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কল্যাণে কাজ করার জন্য প্রার্থী হয়েছি। যদি ভোটাররা আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ দেন, তাহলে চাটমোহরকে একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে চাই। মানুষ যাতে সহজেই তার নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে সমস্যার কথা বলে সমাধান পায় সেই চেষ্টা করে যাবো।
চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের কুমারগাড়া গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে চার ছেলের মধ্যে সবার বড় আব্দুল আলীম। ২০০০ সালে চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু শম্ভুনাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০০৭ সালে মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। আর সম্প্রতি ডিগ্রিতে ভর্তি আছেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে রাজপথে সক্রিয় হন আলীম। মিছিল মিটিংয়ে থাকতেন অগ্রভাগে। ২০০৩ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এরপর ওই সালেই মুল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১০ বছর সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন আলীম। এরই মধ্যে চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগকে এগিয়ে নিতে সাংগঠনিকভাবে ব্যাপক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন আলীম। বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি গঠন করে সংগঠিত করেন।
২০০৭ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর পুলিশ কর্তৃক ব্যাপক হয়রানীর শিকার হন। নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ২০১৩ সালে হয়রানীমুলক মিথ্যা মামলায় ৩ বছর জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের জেলের সাজা হয় তার। ৩ মাস জেল খাটেন। উচ্চ আদালতে আপিল করার পর জামিন লাভ করেন, সেই মামলা এখনও চলমান। আর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় হন। মাত্র ৩ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
চাটমোহরে গ্রামীণ ব্যাংকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিল না। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলনে নামেন আলীম। ২০১৬ সালে তার সক্রিয় ভূমিকার কারণে পাবনা জেলা জুড়ে প্রতিটি গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানো হয়। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। কখনও তিনি ¯্রােতে গা ভাসাননি।
বর্তমানে ছাত্র রাজনীতির পাশপাশি ব্যবসা ও সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি। বিভিন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও সামাজিক সংগঠনকে গতিশীল করতে কাজ করছেন। সেই সাথে মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার রয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নেতৃত্ব হিসেবে আলীম নির্বাচিত হলে উপজেলার উন্নয়ন গতি পাবে বলে মনে করছেন নাগরিক সমাজ।