মাস্ক পরা দেখে সাংবাদিকরা মজা নিক, চান না ট্রাম্প
বিদেশ : যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারির চরম হানা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই ছিলেন মাস্ক পরার বিরোধী। শেষপর্যন্ত কাছের মানুষজন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় কিছুটা ‘সোজা হয়েছিলেন’ তিনি। হোয়াইট হাউসে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছিলেন মাস্ক ব্যবহার। তবে সময়ে সময়ে সেই বাধ্যবাধকতা মানছেন না নিজেই।
বৃহস্পতিবার মিশিগানে সাংবাদিকদের সামনে গিয়ে মাস্ক খুলে ফেলেন ট্রাম্প। জানালেন, মুখ ঢেকে এভাবে ছবি তোলা পছন্দ নয় তারা। এ ছাড়া মাস্ক পরা দেখে সাংবাদিকরা মজা নিক, তাও চান না তিনি। খবর বিবিসি ও এনডিটিভির। বৃহস্পতিবার মিশিগানে গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফোর্ডের কারখানা পরিদর্শনে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ফোর্ডের এ কারখানায় এখন করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ব্যবহার হবে এমন ভেন্টিলেটর তৈরি করছেন শ্রমিকরা। কারখানাটি পরিদর্শনের সময়ে ট্রাম্প মাস্ক পরলেও সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মাস্ক খুলে হাতে নেন তিনি। সাংবাদিকেরা তার মুখে মাস্ক না থাকার কারণ জানতে চাইলে প্রকাশ্যে এই মাস্ক ব্যবহারের পেছনে আজব যুক্তি দেখান ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘আমি এটা পরেছিলাম। পেছনের জায়গাগুলো ঘুরে দেখা সময় পরেছিলাম।’ ট্রাম্প বলেন, ‘করোনাভাইরাস ঠেকাতে অবশেষে আমি মাস্ক বিদ্বেষ কাটিয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু আমি মাস্ক পরে মিডিয়ার সামনে যেতে চাই না। ছবি তুলতে চাই না। আমি চাইনি সাংবাদিকরা এটি পরা দেখে মজা নিক।’ এ সময় নিজের হাতে থাকা কালো রঙের একটি মাস্ক সাংবাদিকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এই যে আমার মাস্ক।
এটি আমি বেশ পছন্দ করেছি। সত্যি বলতে কি, আমি মনে করি মাস্ক পরলে আমাকে আরও ভালো দেখায়। তবে আমি এখন যেহেতু মিডিয়ার সামনে কথা বলতে এসেছি, তাই এটা পরিনি। আমার ধারণা, আপনারা অনেকে এর ছবিও তুলেছেন।’ এই পরিদর্শনে আসার আগে অ্যাটর্নি জেনারেল ট্রাম্পকে মাস্ক পরতে অনুরোধ করেছিলেন।
তাছাড়া ফোর্ডের চেয়ারম্যান বিল ফোর্ডও তাকে কারখানার ভেতরে জোরাজুরি করে মাস্ক পরিয়েছেন। বিষয়টি স্বীকার করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাকে এটি পরতে বলা হয়েছিল। আমি এটি পরেও ছিলাম। মাস্ক বেশ ভালো। পরা থাকলেও ভালো লাগে।’
প্রসঙ্গত, হোয়াইট হাউসে করোনা নিয়ে ব্রিফিংয়ের সময়ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মাস্ক পরেন না। তাকে সমর্থনকারী কট্টরপন্থী আমেরিকানরাও ট্রাম্পের দেখাদেখি মাস্ক পরতে অনীহা দেখান। করোনায় বিশ্বে শীর্ষ আক্রান্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৬ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত এবং ৯৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।