মিলাদের খিচুরী খেয়ে পাবনায় ২৭ জন অসুস্থ ; একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামে জ¦র, বমি ও পাতলা পায়খান অসুস্থ্য হয়ে ২৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে সুমাইয়া খাতুন সুমি নামের এক স্কুল ছাত্রী মারা গেছে। মৃত্যু সুমাইয়া খাতুন সুমি বলরামপুর গ্রামের সেলিম শেখের মেয়ে। সে শহরের শহীদ আহমেদ রফিক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এরা এলাকার এক ব্যাক্তির মৃত্যু বার্ষিকীর মিলাদের খিচুরী খেয়ে অসুস্থ্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অসুস্থ্যতার কারণ হিসাবে নিশ্চিতভাবে কেউ কিছু বলতে না পারলেও আক্রান্তদের স্বজনদের অনেকে বলছেন আক্রান্তদের অধিকাংশই বলরামপুর গ্রামের মরহুম ঈমান আলীর ছেলে শহিদ উদ্দিন তার বাবার কুলখানী উপলক্ষে শুক্রবার মিলাদ মাহফিলে তবারক হিসাবে দেওয়া খিচুরী খেয়ে অসুস্থ হয়েছে।

অসুস্থদের শনিবার রাত থেকে প্রথমে জ¦র পরে বমি ও পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত অসুস্থ্য ২৭ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার আগেই সুমী খাতুন মারা যায়।

অসুস্থ বকুল হোসেন জানান, শুক্রবার মিলাদ মাহফিলের তাবারক খিচুড়ি খাবার পর রাত শেষে শনিবার তার শিশু ছেলে মামুন এবং মেয়ে রুকু অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্ত বিষয়টি গুরুত্ব না দেয়ায় রবিবার অবস্থার অবনতি হলে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ঘটনা জানান পরপরই পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদের নেতৃত্বে আমরা ওই গ্রাম পরিদর্শন করেছি। গ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। বলরামপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী স্বাস্থ্য ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন অনেকেই ওই মিলাদে দেওয়া খিচুরী খাই নাই তবুও অসুস্থ হয়েছে। এমন লোকজনকেও আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে প্রকৃত ঘটনা কি।

পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে অবহিত করা হয়েছে। ঢাকার রোগতত্ত্ব ও নিরাময় কেন্দ্রের একটি বিশেষজ্ঞ টীম পাবনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। ঘটনাস্থলে জরুরী সেবা নিশ্চিত করার জন্যে একটি এম্বুলেন্স রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ২২জন চিকিৎসককের মেডিক্যাল টিম সতর্কতার সাথে কাজ করছে। মৃত মেয়েটির পরিবারকে তাৎক্ষনিকভাবে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!