মুক্তিযুদ্ধের অগ্র নায়ক –প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল–এবাদত আলী
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা সক্রিয় অংশ গ্রহন করেনি নিজের জীবনকে বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন, তাদের মধ্যে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এম,পি, এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে পাবনা জেলার সংগঠক সিংহ পুরুষ বলে খ্যাত বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল অন্যতম।
১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯৩ সালের প্রথমদিক পর্যন্ত জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানের মাধ্যমে আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করেন।১৯৮৬ সালে তিনি সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।
১৯৯৩ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারী তিনি তাঁর কয়েক হাজার অনুসারি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ৬ষ্ঠ ও ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।অল্প কিছু দিনের মধ্যেই জেলা বিএনপির আহবায়ক এবং পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্ব পান।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে জাতীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে কথা হচ্ছিল তার পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার দ্বিতল বাড়ীর নীচতলায় তার ড্রইং রুমে বসে।
আমার সুহৃদ সাংবাদিক এইচ,কে,এম আবু বকর সিদ্দিককে সঙ্গে নিয়ে তার বাসায় উপস্থিত হই। ২৭ মে, ১৯৯৫ইং রাতে তার সাক্ষাতকার গ্রহন করা হয়।যার কিছু অংশ নিম্নে তুলে ধরা হলো:
তিনি সে দিন বলেছিলেন, ১৯৬৯ সালে তৎকালিন পূর্বপাকিস্তানে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।ছাত্ররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক ৬ দফাকে অর্ন্তভূক্ত করে ১১ দফা কর্মসূচীর ঘোষনা করে। আন্দোলনে যখন ঝাপিয়ে পড়ি তখন আমি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্র এবং পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের একজন সক্রিয়কর্মি।এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্র সংসদের ব্যায়ামাগা রসম্পাদক।
সারাদেশ জুড়েই চলছিল ছাত্র আন্দোলন। এসময় কলেজে ছাত্রলীগের নেতাদের মাঝে যারা ছিলেন তারা হলেন মোহাম্মদ নাসিম, সোহরাব উদ্দিন সোবা, আব্দুল মান্নান গোরা, রবিউল, রেজাকাদের খান, রেজাউল করিম, আহম্মেদ রফিক, আব্দুস সাত্তার লালু, জহুরুল ইসলাম বিশু, আমিনুল ইসলাম মুক্তা, এবাদত আলী, মাসুম আহমেদ প্রমুখ। তখন পাবনাতে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের মধ্যে চরম দ্বন্দ চলতে থাকে। উভয় পরে মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ ও ঘটে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় যে আক্রমন হয় পর দিন পাবনা কাশিপুর শিল্প এলাকাতে অবস্থানরত পাক আর্মিরা পাবনাতে কারফু জারি করে। আমরা কয়েকজন রামচন্দ্রপুর চরে চলে যাই শেল্টারের জন্য।সেখানে তোফাজ্জল মালিথা ও নবাব আলী মোললা আমাদেরকে আরো ভিতরের দিকে কোমরপুর চরে ছাকামোললার বাড়ীতে নিয়ে যান, সেখানে রান্নার ব্যবস্থা করা হয় এসময় পাবনার ডি,সিনুরুলকাদের খান ও পালিয়ে হিমায়েতপুরের কুটিপাড়ার, মাঝিপাড়া একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন।
তার সঙ্গে আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রব বগা মিয়া ছিলেন।সে জায়গায় ওয়াজি উদ্দিন খান, গোলাম আলী কাদেরীও ছিলেন।
আমার বড় ভাই আঃ রাজ্জাক মুকুলের মাধ্যমে খবর পেয়ে বেশকিছু সঙ্গি সহ রাতে মাঝিপাড়ার ঐ বাড়ীতে গিয়ে হাজির হই।ডি, সিসাহেব বলে নযে পুলিশ কেষ্ট্যান্ড বাই অবস্থায় রাখা হয়েছে।
এসময় পাকিস্তানি আর্মিরা জজকোর্ট ও পোষ্ট অফিস থেকে পাবনা পুলিশ লাইনের পুলিশদের উপর আক্রমন করলে আর আই আবুল খায়েরের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী প্রাণপণ লড়াই করতে থাকে।
আমরা অতি সাহসী মনোভাব নিয়ে সামনের দিকে এগুতে থাকি।গিয়ে দেখি পৌরসভা আর আমজাদ সাহেবের বাড়ির মাঝামাঝি রাস্তার উপর দিয়ে একটি জিপগাড়ি আসছে।হাতের টুটুবোর দিয়ে ফায়ার করা মাত্র সামনের কাচ ভেঙ্গে ড্রাইভার আহত হয় এবং জীপটি উল্টে খাদে পড়ে যায়।পাকিস্তানি আর্মিরা দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। পুলিশ লাইনের যুদ্ধ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায়।
পরাজিত আর্মিরা সেখান থেকে বাণী সিনেমা হলের পাশে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের অভ্যন্তরে গিয়ে আশ্রয় নেয়।এদিকে পাবনা জেলার সর্বত্র খবর ছড়িয়ে পড়লে লোকজন চারিদিক থেকে লাঠিফলা, সড়কি বন্দুক ও তীরধনুক নিয়ে জয়বাংলা শ্লোগান দিতে দিতে স্বেচ্ছাসেবিযোদ্ধাদের পাশে এসে হাজির হয়।
আর, আই, আবুল খায়ের আমাদেরকে নিয়ে গিয়ে পুলিশ লাইনের ভিতরের অবস্থা দেখান।এসময় জেল খানার তালায় গুলি করে তালা ভেঙ্গে ফেলা হলে কয়েদীরা মুক্ত হয়ে বাইরে চলে আসে।ডান্ডাবেড়ী পরানো কয়েদীর ডান্ডা ঝনঝন শব্দ হতে থাকে।
তখন পাবনার ম্যাগজিনরুম খুলে দেওয়া হলে স্বেচ্ছাসেবী যুবক ও জনসাধারনের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।
পাক আর্মি টেলিফোন ভবনে আশ্রয় নিয়ে আছে। এ খবর পাবার পর সংগ্রামী জনতাতাদের উপর চারিদিক থেকে আক্রমণ করে বসে।বিভিন্ন স্থান থেকে পাক আর্মিদের উপর ব্যাপকভাবে হামলা করা হয়।এক সময় পেট্রোল বাল্ব ছোড়া হলে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের জানালায় আগুন ধরে যায়।সেখানে প্রায় ২৮/৩০জন খান সেনাকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়।
এরপর হাজার হাজার স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে জনতা শহরে মিছিল বের করে জয়বাংলা ধনি দিতে থাকলে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে।১৩ দিন পাবনা শত্রুমুক্ত থাকে। ১০ এপ্রিল রাতের বেলায় পাক হানাদার বাহিনী পাবনা শহর দখল করেনি য়ে ভেরীলাইট জ্বালায় ও টেসারগান ফায়ার করতে থাকে।
এসময়ের পর যেযারমত ভারতে যাওয়া শুরু হলো। মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল বলেন, আমরা আঃ রাজ্জাক মুকুল, ফজলুল হক মন্টু বাবুল, জিলানী, ইকবাল, জহুরুল ইসলাম বিশু ও সামসসহ বেশকজন এক সঙ্গে ভারতের উদ্দেশ্যে শিলাইদহ ঘাট পার হয়ে কুষ্টিয়াতে যাই।
কুষ্টিয়ার খেতাইবর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করা হলে বি,এস,এফ, আমাদের অস্ত্রগুলো রেখে দেয়।শিকার পুর ক্যাম্পে গিয়ে কুষ্টিয়া ভেড়ামারার এম,পি, রাজা মিয়ার সঙ্গে আমাদের সাক্ষাত হয়। সেখান থেকে আমরা কৃষ্ণনগর যাই।কৃষ্ণনগরের বাসমালিকেরা আমাদের কে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করেন।
একদিন আমার খালু আঃলীগ নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ সাহেবের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল।তিনি আমাকে তার গাড়িতে করে বাংলাদেশ হাইকমিশনার হোসেন আলীর কাছে নিয়ে গিয়ে পরিচয় করিয়ে দিলেন।হাইকমিশনার অফিস থেকে আঃ সামাদ আজাদ সাহেব আমাকে নিয়ে গেলেন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী কার্যালয়ে। সেখানে তাজ উদ্দিন সাহেব, ক্যাপ্টেন এম, মনসুর আলী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন।সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেবের পর নেছিলধুতি।
সেখানে গিয়ে তোফায়েল আহমেদ, শেখ মনি, আব্দুর রাজ্জাক এর সঙ্গেও দেখা হয়।তারা আমাকে সঙ্গে করে ভবানীপুরের এম, পিচিত্তরঞ্জন বাবুর ওখানে নিয়ে যান।সেখানে গিয়ে দেখি সিরাজ ভাইয়ের (সিরাজুল আলম খান) দারুন পক্স বেরিয়েছে।
তিনি মশারির মধ্যে শুয়ে আছেন।তারা সেখানে মুজিব বাহিনী গঠন সম্পর্কে আলোচনা করে আমাকে পাবনা জেলার জন্য লিডার হিসাবে দায়িত্ব দিলেন।জনৈক গ্রাম পঞ্চায়েতের সহায়তায় শিকারপুর থেকে কেচুয়াডাঙ্গা বিদ্যালয়ে আমাদের ক্যাম্প স্থানান্তর করা হয়।
পাবনা গোপালপুরের আব্দুল হাই, পাবনা চরতারাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গেদামণির ভাই ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর যুবকদেরকে পিটিপ্যারেড করাতো এবং পাবনার আর, আই আবুল খায়ের এই ক্যাম্পের যুবকদেরকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রদান করতেন।
এরপর হায়ার ট্রেনিং এর জন্য দেরাদুন মিলিটারী একাডেমীতে পাঠানো হয়।ট্রেনিং শেষে আমার নেতৃত্বে পর্যায়ক্রমে গোটা পাবনা জেলায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার এফ, এফ, ও মুজিব বাহিনী ঢুকে পড়ে।এদের কাছে যেসকল অস্ত্র ছিল তা হলো এসএলআর, এসএমজি, সেভেন পয়েন্ট সিক্সটু, জিএফ রাইফেল, আরসি এল গান, ইন্ডিয়ান রিভালবার, হ্যান্ড গ্র্যানেড, মাইন, এক্সপ্লোসিভ ইত্যাদি ইত্যাদি।
দ্রুত যোগাযোগের জন্য কোন কোন টিমের সাথে ওয়ারলেস সেট ছিল।ভারত হতে ট্রেনিং নিয়ে যারা পাবনায় প্রবেশ করতো তাদেরকে মাসিক ২শ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হতো।তালবাড়িয়া ডিগরিরচরের সেলটারে জফির ডালিকীর বাড়ি পর্যন্ত আমি নিজে গিয়ে সেই টাকা পৌছে দিয়ে ক্যাম্পে ফিরে যেতাম।
তখন রমজান মাস। একটা বড় ধরনের অপারেশনের প্রস্তুতি চলতে থাকে।সেমোতাবেক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অতিরিক্ত অস্ত্র পাঠানো প্রয়োজন।এবারে আমি মেছের ও হাশেমসহ একটি বড় দল নিয়ে তাল বাড়িয়া ডিগ্রিরচর পার হয়ে প্রথমে জফির ডালিকীর বাড়িতে উঠি এবং সেখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাধপুরের আবুল ডাক্তারের বাড়িতে যাই।
ঐ রাতে ভোর বেলা পাক আর্মিরা মাধপুর গ্রাম অতর্কিত আক্রমণ করে বসে।তারা প্রায় ১১/১২ জন গ্রামবাসিকে হত্যা করে চলে যায়।
পাবনার নকশালেরা তখন পাক আর্মিদের সঙ্গে ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পে একত্রে থাকতো।পাক আর্মিগন কোন অপারেশনে গেলে নকশালদেরকেও সঙ্গে নিয়ে যেত পাকহানাদার বাহিনীও তাদের দোসর নকশাল, রাজাকার এবং বদর বাহিনীরা নাজিরপুর গ্রামে প্রবেশ করে গোটা গ্রামটিই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মায়ের কোল থেকে শিশুকে কেড়ে নিয়ে হাতও পা হ্যাচকাটানে ছিড়ে ফেলে। তারা অগনিত লোককে হত্যা করে।পাবনায় মওলানা আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে রাজাকার পরিচালনা করা হতো।
ক্যাপ্টেন জায়েদী, নূরু খন্দকার, ওসমান গনি খান ছিলেন তার সহযোগী।মওলানা ইসহাক ছিলেন সে সময় শিক্ষামন্ত্রী।পাবনা জেলায় হাদল, ডেমরা, গোড়রিসহ বিভিন্ন গ্রামে পিস কমিটি রাজাকার বাহিনীও নকশালদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্যাপক গণহত্যা চালায় ও গ্রামের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। তারা আমার শাহজাদপুরের চিথুলিয়ার বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।নকশালদের টিপু বিশ্বাসের নেতৃত্বই ছিল প্রধান।পাবনার উললেখ যোগ্য রাজাকার ছিল সাবান মললিক ও ঘেটু রাজাকার।
আমাদের সর্বশেষ যুদ্ধ ছিল সুজানগরে। আমার নেতৃত্বে ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখে সুজানগর থানা তিন দিক থেকে আক্রমণ করা হয়।এক দিকে এ্যাম্বুশপেতে এলাকাটি ফাকা করে রাখা হয়। ভোর ৬টার দিকে আক্রমণ শুরু করা হয়।মুক্তিযোদ্ধা নুরুল গুলিতে আহত হলে তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়।
যুদ্ধেই ব্রাহিম আলী (দুলাল) শহীদ হয়। উলট গ্রামের আবু সাইদের চোখে গুলি লেগে দুচোখ নষ্ট হয়ে যায়।১৩ তারিখ রাত ৯টার সময় থানার পশ্চিম পাশের বাংকারে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয় দ্বীপচরের আবু বকর।
এই যুদ্ধে জহুরুল ইসলাম বিশু গুলিবিদ্ধ হয় এবং তাকে ভারতে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।এসময় ৪জন পাক আর্মি নিহত হয়।বাদ-বাকি সৈন্যরা রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়।১৪ ডিসেম্বর ভোর বেলা সুজানগর থানা মুক্ত করা হয় এবং থানার দায়িত্ব ইকবালের উপর ন্যস্ত করা হয়।
মুজিব বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী আমার নেতৃত্বে একক কমান্ডে এক সঙ্গে যুদ্ধ করেছে।কোন কোন স্থানে মুজিব বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর মধ্যে মতবিরোধ ছিল বলে শোনা গেলেও পাবনাতে এ ধরনের কোন সমস্যা ছিল না।
এক পর্যায়ে রফিকুল ইসলাম বকুলকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, আপনি স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আপনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব পাবনার মানুষকে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে ছিলেন এবং পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন এজন্য পাবনার মানুষ আপনাকে সিংহ পুরুষ এবং বীর বলে আখ্যায়িত করে থাকেন।
সরকার তরফ হতে তেমন কোন খেতাব বা সম্মানে আপনাকে কি ভূষিত করা হয়েছে?প্রতি উত্তরে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছরেও যখন হয়নি তখন আর কবে হবে? কি প্রয়োজন।দেশমাতৃকার মুক্তি সংগ্রামে একজন সৈনিক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারছি এটাই তোযথেষ্ট।এই অকুতভয় বীরমুক্তিযোদ্ধা
২০০০ সালের ১০ নভেম্বর বিকালে ঢাকা থেকে বাস যোগে পাবনা আসার পথে সিরাজগঞ্জের কোনাবাড়ি নামক স্থানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। ( লেখক: বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও কলামিস্ট)।