মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন
। আমিরুল ইসলাম রাঙা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, ভাষা সংগ্রামী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এডভোকেট আমিন উদ্দিন। ১৯৭০ সালে ১৭ ডিসেম্বর ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ( এমপিএ) নির্বাচিত হন । ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ রাতে পাকিস্তানী সৈন্যরা পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার পুষ্পালয় বাসভবন থেকে তাঁকে আটক করে। তারপর পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর সেনাক্যাম্পে নির্মম নির্যাতন করে ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে তাঁকে হত্যা করে। ২৭ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে পাবনায় অবস্থানরত সমস্ত পাকিস্তানী সৈন্যকে হত্যা করা হয়। ২৯ মার্চ হতে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত পাবনা শত্রুমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ২৬ মার্চের পর পাবনায় প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ সংগঠিত হওয়া, সমস্ত পাকিস্তানী সৈন্যকে হত্যা করে হানাদার মুক্ত করার সাথে আরেকটি যোগ হয় একমাত্র সংসদ সদস্য এডভোকেট আমিন উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। ২৯ মার্চ পাবনা মুক্ত হলে বিসিক শিল্পনগরীতে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। একই সময়ে শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিনের সাথে পাবনা জেলা ন্যাপের ( ভাসানী) সভাপতি ডাঃ অমলেন্দু দাক্ষী, রাধানগর তৃপ্তিনিলয় হোটেলের মালিক ও মোটর ব্যবসায়ী সাঈদ উদ্দিন তালুকদার সহ অনেক মানুষকে পাকিস্তান সৈন্যরা হত্যা করেছিল।
শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামে ১৯২১ সালে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। উনি গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ১৯৩৮ সালে খঞ্জনপুর বিশপ মিশন স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। এরপর রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯৪০ সালে আই,এ এবং ১৯৪২ সালে বি,এ পাশ করেন। তারপর আইন বিষয়ে পড়াশুনা করার জন্য কলিকাতা যান। সেখানে প্রথম পর্ব শেষ করে ঢাকায় আসেন। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল,এল,বি পাশ করে ঢাকা হাইকোর্টে শিক্ষানবীশ আইনজীবি হিসেবে যোগ দেন। তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবি ও বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জুনিয়র হিসেবে কাজ শুরু করেন।
শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। অল্পদিনের মধ্যেই মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ,কে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাঁর জ্ঞান, মেধা ও যোগ্যতায় অল্পদিনেই রাজনীতিতে বিশেষ স্থান দখল করেন। ষাটের দশকে তিনি পাবনা চলে আসেন। শহরের গোপালপুর মহল্লার পুষ্পালয় বাড়ী ক্রয় করে সেখানে বসবাস শুরু করেন। পাবনা জজকোর্টে যোগ দিয়ে আইন ব্যবসা শুরু করেন। তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৭ সালে পাবনায় সংঘটিত ঐতিহাসিক ভুট্টা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ভুট্টা আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্যাপ্টেন এম,মনসুর আলী, আমজাদ হোসেন, আব্দুর রব বগা মিয়া, আমিনুল ইসলাম বাদশা প্রমুখ নেতৃবৃন্দের সাথে গ্রেপ্তার হয়ে পাবনা জেলখানায় নয় মাস বন্দী ছিলেন।
শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ৬৭ সালের ভুট্টা আন্দোলন, ৬৮-৬৯ সালে গন আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। তিনি পাবনা আইন কলেজে অবৈতনিকভাবে শিক্ষকতা করতেন। তিনি শহীদ বুলবুল কলেজ ( তৎকালীন পাবনা ইসলামীয়া কলেজ) ও পাবনা মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এছাড়া পাবনার বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি পাবনা আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক ও পাবনা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন । এরপর ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদ নির্বাচন এবং ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এডভোকেট আমিন উদ্দিন ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসনে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ( এমপিএ) পদে মনোনয়ন পান।
১৯৭০ সালে নির্বাচনকালীন সময়ের প্রেক্ষাপট বর্ননা করলে আজকের প্রজন্ম অবাক হবেন। ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসনকাল । ১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের পতন হলে জেনারেল ইয়াহিয়া খান অন্তর্বতীকালীন সময়ের জন্য ক্ষমতায় বসেন। জেনারেল ইয়াহিয়া ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসে সাধারণ নির্বাচন ঘোষনা করলেন। দীর্ঘ সময়ের সামরিক শাসনে রাজনৈতিক দলগুলো তখন অসংগঠিত ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সাল থেকে কারাবন্দী ছিলেন। ৬৯ সালে মুক্তি পেলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পুর্বে বঙ্গবন্ধু যখন পাবনা সফরে এলেন, তখন পাবনার অনেক থানাতে দলের কমিটি ছিলো না। পাবনার নির্বাচনী আসনগুলিতে প্রার্থী সঙ্কট ছিল। পাবনা অঞ্চলে ৩ টি জাতীয় সংসদ আসন ছিল। উক্ত নির্বাচনে মোঃ আমজাদ হোসেন ( পাবনা-ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া), অধ্যাপক আবু সাঈদ ( সাঁথিয়া-বেড়া-সুজানগর) ও হোসেন মনসুর ( চাটমোহর-ফরিদপুর-শাহজাদপুর) প্রার্থী ছিলেন । প্রাদেশিক পরিষদে ৫ টি আসনে আব্দুর রব বগা মিয়া ( পাবনা সদর), আহমেদ রফিক ( সাথিয়া-বেড়া আংশিক), আহমেদ তফিজ উদ্দিন ( সুজানগর-বেড়া আংশিক), অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক সমাজী ( চাটমোহর- ফরিদপুর) এবং এডভোকেট আমিন উদ্দিন ( ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) প্রার্থী ছিলেন।
শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিনকে নিয়ে লেখতে বসে নিজের কথা বলার আগ্রহ সামাল দিতে পারছিনা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সময় আমি পাবনার ঐতিহ্যবাহী আর,এম,একাডেমীর ছাত্র। আমি তখন স্কুল ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এবং পরে সভাপতি নির্বাচিত হই । ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলনের সময় গঠিত সর্বদলীয় স্কুল ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পাবনা জেলার যুগ্ম আহবায়ক ছিলাম। ১৯৭০ সালের জানুয়ারী মাসে সংগঠিত সারাদেশব্যাপী স্কুল ছাত্রদের নেতৃত্বে পরিচালিত ” পাকিস্তান দেশ ও কৃষ্টি বই বাতিলের আন্দোলন ” এর অন্যতম নেতা ও সংগঠক ছিলাম । তৎকালীন সময়ে ৬৭ সালের ভূট্টা আন্দোলন থেকে ৬৯ এর গণআন্দোলন সমুহের সক্রিয় কর্মী হিসেবে মিটিং, মিছিল থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর পাবনা আগমনের প্রচার অভিযান দলের নিয়মিত সদস্য ছিলাম। পাবনা জেলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু পর্যন্ত নেতাদের সাথে দেখা, কথা এবং মেশার সুযোগ পেলেও কোনদিনই এডভোকেট আমিন উদ্দিন সাহেবের সাথে কথা হতো না। আমার কাছে কেন যেন উনাকে খুব গুরু-গম্ভীর স্বভাবের মনে হতো। উনার সাথে জীবনে প্রথম কথা হলো ৭০ সালের নির্বাচনে উনি প্রার্থী হবার পর। একদিন সাহস করে আমার পরিচয় দিয়ে বললাম, চাচা আমি আটঘরিয়ার দেবোত্তরে আপনার নির্বাচনী সভা করতে চাই। উনি সাথে সাথে রাজী হয়ে বললেন, কবে করবে? আমি বললাম আপনি যেদিন সময় দিবেন, সেদিনই সভা হবে। উনি তারিখ দিলেন। আমি প্রথম আটঘরিয়ার দেবোত্তরে উনার নির্বাচনী সভার আয়োজক হলাম।
এডভোকেট আমিন উদ্দিন সাহেবের নির্বাচনী সভার কথা বলতে গেলে অনেক ঘটনা বলতে হবে। কিছু বলার মত আর কিছু না বলার মত। তখন দেবোত্তর এলাকায় উনার পক্ষে কথা বলার মত লোক ছিল না। আওয়ামী লীগের হাতে গোনা কয়েকজন নেতা ছিলেন, আটঘরিয়া ও টেবুনিয়া এলাকায়। তখন দেবোত্তর অঞ্চলের আঞ্চলিক দ্বন্ধ ছিল প্রবোল। আটঘরিয়া এবং দেবোত্তর ছিল দ্বিধাবিভক্ত। উনার সভা নিয়ে আটঘরিয়া অঞ্চলের নেতা অভিরামপুর গ্রামে আজিজুর রহমান ফনি এবং লক্ষনপুর গ্রামে আব্দুল আজিজ, টেবুনিয়া অঞ্চলে মনিদহের ইদ্রিস আলী খান এবং রানীগ্রামের ম.জয়নুল আবেদীনের সাথে দেখা করলাম। দেবোত্তর অঞ্চলে কয়েকজন তরুন ও কিশোর ছাড়া কোন বড় মানুষ পাওয়া যাচ্ছিল না। একদম শেষ মুহুর্তে দেবোত্তরের জাহাঙ্গীর আলম ঘটু এক মহা আবিস্কার করে দিলেন। উনার কাছে প্রথম জানলাম, বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী এবং ঘনিষ্ট বন্ধু হলেন, রাধাকান্তপুর গ্রামের রশীদ মৌলভী। যিনি কিনা বঙ্গবন্ধুর সাথে কলিকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়াশুনা করেছেন। অবশেষে তাঁকে বললাম এডভোকেট আমিন উদ্দিন সাহেবের সভায় থাকতে হবে। উনাকে রাজী করানো হয়। অবশেষে রশীদ মৌলভীকে সেই নির্বাচনী সভার সভাপতিত্ব করানো হয়েছিল ।
দেবোত্তর স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাচনী সভার আমি ছিলাম আয়োজক, প্রচারক, উপস্থাপক এবং আলোচক। বঙ্গবন্ধুর বাল্যবন্ধু রশীদ মৌলভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছিলেন এডভোকেট আমিন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, এডভোকেট আমজাদ হোসেন ( ছোট আমজাদ) এবং টেবুনিয়ার ম,জয়নুল আবেদীন। কয়েক ঘন্টাব্যাপী চলা জনসভায় আমার ভূমিকায় এডভোকেট আমিন উদ্দিন সাহেব এত খুশি হয়েছিলেন যে, নির্বাচন পরবর্তী যতবার দেখা হয়েছে ততবার সেই মিটিংয়ের কথা বলেছেন। বিশেষ করে আমার বক্তৃতা উনার খুব ভাল লেগেছিল। অল্পতেই আমি যেমন উনার মন জয় করলাম তেমন উনিও এলাকার মানুষের মন জয় করে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য ( এম,পি,এ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে উনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল জামায়াতে ইসলামী’র মাওলানা খোদা বক্স খান ( দাঁড়ি পাল্লা), ন্যাপের আব্দুল হালিম চৌধুরী ( কুঁড়েঘর) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন মোঃ ইউসুফ আলী ( বাঘ মার্কা)।
১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর এডভোকেট আমিন উদ্দিন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ( এম,পি,এ) নির্বাচিত হলেন। নির্বাচনের পাঁচদিন পর ২২ ডিসেম্বর সাঁথিয়া – বেড়া আসন থেকে নির্বাচিত এম,পি,এ আহমেদ রফিক পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘবপুর মহল্লায় তাঁর বাসভবন এর সামনে নক্সালদের হাতে খুন হলো। ২৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাবনায় আসলেন। পাবনা পুলিশ লাইন মাঠে আহমেদ রফিক স্মরণে শোকসভা করলেন। নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য আহমেদ রফিক হত্যাকান্ডের তিন মাসের মধ্যে নিহত হলেন, এডভোকেট আমিন উদ্দিন। ২৬ মার্চ রাতে পাবনা শহরের বাসা থেকে পাকিস্তানী আর্মীরা উনাকে আটক করলেন। ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে আর্মীরা এডভোকেট আমিন উদ্দিনকে বিসিক শিল্প এলাকায় হত্যা করলো । এরপর এক সপ্তাহ পরে ৬ এপ্রিল পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নব নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য ( এম,এন,এ) আমজাদ হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেন। নির্বাচনের তিন মাসের মধ্যে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের তিন দিকপাল আহমেদ রফিক, এডভোকেট আমিন উদ্দিন এবং আমজাদ হোসেন এই পৃথিবী থেকে চীরবিদায় নিলেন। উল্লেখ্য মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাবনায় সাত সদস্য বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। এডভোকেট আমিন উদ্দিন উক্ত পরিষদের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনের পর শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিনের স্মৃতিকে স্মরনীয় করে রাখার জন্য পাবনা আইন কলেজকে ” শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন আইন কলেজ ” ও পাবনার প্রধান স্টেডিয়াম জিন্নাহ পার্কের নাম পরিবর্তন করে ” শহীদ এডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়াম ” নামকরন করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী এই বীর এডভোকেট আমিন উদ্দিন চীরকাল দেশ এবং মানুষের কাছে অম্লান ও অমর হয়ে থাকবেন।
(সমাপ্ত)
লেখক পরিচিতি –
আমিরুল ইসলাম রাঙা
রাধানগর মজুমদার পাড়া
পাবনা।