মুসলিম দেশগুলো করোনায় কী পদক্ষেপ নিয়েছে
ধর্মপাতা: মো. সাঈদুল মোস্তফা: মার্চের শুরুতে কভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী আগ্রাসী রূপ ধারণ করতে শুরু করলে একে একে সব দেশ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।
বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্ব এখনো আক্ষরিকভাবেই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম দেশগুলো করোনা প্রতিরোধ ও করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা একনজরে দেখা যাক।
সৌদি আরব: দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সৌদি আরব অন্যতম হয়ে থাকবে। করোনা খাতে কয়েক দফায় দেশটি মোট ৫০ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল বাজেট ঘোষণা করে, যা ২০২০ অর্থবছরের মোট বাজেটের ৫ শতাংশ। সংক্রমণের প্রাথমিক ধাপেই হারামাইনে জনসাধারণের প্রবেশ স্থগিত করার পাশাপাশি বিমান চলাচল বন্ধ করে। লকডাউন ও কারফিউ জারি করে। পাঁচতারা হোটেলগুলো রাতারাতি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পরিণত করে।
সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীদের দুই মাসের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি সরকার। বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া সৌদি নাগরিক ও করোনা আক্রান্তদের নিজ দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এ ছাড়া প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে প্রতিটি মহল্লায় বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে।
পেট্রলের দাম একেবারে তলানিতে ঠেকে যাওয়ার পরও অর্থনীতি ও বাণিজ্য রক্ষায় ৩২ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করে। শুধু তা-ই নয়, আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলোকে করোনা মোকাবেলায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান ঘোষণা করে। বাদশাহ সালমানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি ছিল বৈধ-অবৈধ, দেশি-বিদেশি সৌদিতে অবস্থানরত সবার জন্য ফ্রি করোনাভাইরাস চিকিৎসা ঘোষণা।
প্রথম দিকে করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়ছে দেশটির করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তারা দেশের সব করোনা উপসর্গের রোগীকে পরীক্ষার আওতায় নিয়ে এসে আলাদা করে ফেলছে।
মালয়েশিয়া: দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে করোনার প্রাথমিক ধাক্কায় বিপর্যস্ত হওয়া মালয়েশিয়া অত্যন্ত নিপুণতা ও দক্ষতার সঙ্গেই সেই বিপদ কাটিয়ে উঠার নজির স্থাপন করেছে। সরকারের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও জনগণের সহযোগিতামূলক শৃঙ্খলার কারণে মালয়েশিয়া এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা দেশগুলোর অন্যতম। সংক্রমণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া, দূরপাল্লার যাত্রা ও লোকসমাগম স্থগিত করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তগুলো ছিল কার্যকর।
গণসংক্রমণ রোধে মালয়েশিয়া সরকার দ্বিগুণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে এক-তৃতীয়াংশ করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়া ব্যক্তি পরীক্ষার আওতায় এসেছে। সংক্রমণ রোধে এটি ছিল একটি মাইলফলক।
মালয়েশিয়া সরকার করোনভাইরাস মোকাবেলায় পর্যটন ও অন্য শিল্প খাতে ৪.৫৬ বিলিয়ন ডলারের উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ৫৮ বিলিয়ন ডলারের বাজেট ঘোষণা করেছে, যার মাধ্যমে ৬ বিলিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং ব্যবসায়ীদের সহায়তা করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের এককালীন কিস্তিতে সুদবিহীন সুযোগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২৩২ মিলিয়ন ডলার কৃষি খাতে সহায়তা করার জন্য খাদ্য সুরক্ষা তহবিলে বরাদ্দ করা হয়েছে। বড় সংস্থাগুলোর জন্য ১২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রকল্পও তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্প সংস্থাগুলোর ঋণ প্রাপ্ত পরিমাণের ৮০ শতাংশ অবধি গ্যারান্টি সরবরাহ করবে। প্রাদুর্ভাবের অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলার জন্য সরওয়াক প্রদেশ ২৬৩ বিলিয়নের একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। সরকার ঋণ প্রদান স্থগিত, পেমেন্ট মওকুফ ও মৌলিক সরকারি পরিষেবাগুলোতে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এ ছাড়া ‘কন্টাক্ট ট্রেসিং’ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছে মালয়েশিয়া। করোনা আক্রান্ত রোগীদের সবার বিগত ৪৮ ঘণ্টার চলাচলের রেকর্ডের ওপর ভিত্তি করে সন্দেহভাজনদেরও কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করা হয়, যাদের সার্বক্ষণিক কাজ ছিল করোনা রোগীদের নিবিড় সেবা দেওয়া।
পাকিস্তান: সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে গণস্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ব্যবহার করা প্রথম দেশ হচ্ছে পাকিস্তান। ফেব্রুয়ারিতেই পাকিস্তানে যখন সংক্রমণ শুরু হয়নি, তখন থেকেই আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় দেশটি। এমনকি চীনে আটকে পড়া প্রচুর পাকিস্তানি পর্যটক, ব্যবসায়ী ও ছাত্রদেরও ফেরত আনতে অসম্মতি জানায় পাকিস্তান। মার্চে এসে বুঝতে পারা যায়, সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল।
এ ছাড়া পাকিস্তানের গৃহীত ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ ছিল শুরুতেই স্টেটভিত্তিক লকডাউন করে দিয়ে অভ্যন্তরে স্বাভাবিক কাজ চালু রাখা। এটিও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত ছিল। অঙ্গরাজ্যগুলো স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই নিজে নিজে লকডাউন ঘোষণা করেছিল।
অন্য দেশের মতো পাকিস্তানও স্যোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে। বাংলাদেশের মতোই পাকিস্তানও সার্কের জন্য গঠিত তহবিলে অনুদান দেয়। অঞ্চলভিত্তিক করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে এবং এর প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে জাতীয় দুর্যোগ কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সম্প্রতি শুরু হওয়া সব ধরনের নির্মাণ প্রজেক্টের ট্যাক্স মওকুফ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সব অসহায় পরিবারকে মাসিক ১২ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ‘টাইগার ফোর্স’ নামের প্রায় চার লাখ স্বেচ্ছাসেবক দেশজুড়ে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া খাদ্যসংকট মোকাবেলায় খাদ্যভা-ারে পর্যাপ্ত খাদ্য ও কাঁচামাল সংগ্রহ করে রাখা হয়।
মিসর: প্রচুর ঘনবসতি হওয়া সত্ত্বেও মিসরে করোনা সংক্রমণ শুরু থেকেই অনেক কম ছিল। মিসরীয় জনগণ এমনিতেই কারফিউয়ের সঙ্গে জীবনযাপনে অভ্যস্ত। করোনা সংক্রমণের শুরুতেই দেশটির সরকার কারফিউ জারি করে। জনগণও কোয়ারেন্টিন যথাযথ পালন করায় সংক্রমণ রোধ করা সহজ হয়। সেনাকর্মীদের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হয়।
মিসরের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিত্বরা করোনা প্রতিরোধে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। ইসলামি শিক্ষা ও হাদিসের নির্দেশনা প্রচার করে এবং সময়োপযোগী ফতোয়া দিয়ে জনসচেতনতা নিশ্চিত করেছেন।
অন্য দেশের মতোই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। প্রায় ৫৪ হাজার বন্দি মুক্তি দেয় মিসর সরকার। মিসর তার ১.৬ ট্রিলিয়ন পাউন্ডের ২০১৯-২০ বাজেট থেকে স্বাস্থ্য খাতে ১২৫ বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করেছে। এ ছাড়া আইএমই থেকেও সহায়তা চেয়েছে।
তুরস্ক: বলা হচ্ছে, এযাবৎ করোনা প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে তুরস্কের সিদ্ধান্তগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। অর্থনীতি সচল রাখতে যুবকদের ব্যবহার করা হয়েছে। ২০ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বের সবাইকে বাসায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
মসজিদগুলোকে স্থানীয় খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। জাতীয় বাজেট হ্রাস করা হয়েছে। ১৫.৩ বিলিয়ন ডলারের স্বাস্থ্য প্যাকেজ ও ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্য আলাদাভাবে পেনশন ঘোষণা করা হয়েছে।
নিজ দেশে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের জন্যও স্বাস্থ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে তুরস্ক। পরিপূর্ণ লকডাউন না দিয়ে সংক্ষিপ্ত লকডাউন মেথড ব্যবহার করছে দেশটি। আক্রান্তের সংখ্যা আপাতদৃষ্টিতে বিপুল মনে হলেও মৃত্যুর সংখ্যা মোট আক্রান্তের মাত্র ২ শতাংশ, বলছিলেন তুর্কি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফেহেরেতিন।
তুরস্ক সর্বপ্রথম করোনা নিরাময়ে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ফাবিপিরাভির ব্যবহার শুরু করে। পাশাপাশি জাপানি অ্যান্টিভাইরাসও সর্বপ্রথম তুরস্ক ব্যবহার করে ভালো ফল পেতে শুরু করে। নিজেরা পিপিই তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশকেও পিপিই সহায়তা করেছে ইউরেশিয়ান এই মুসলিম রাষ্ট্রটি।
ইরান: করোনার প্রথম ধাক্কায় বিপর্যস্ত হওয়া দেশ ইরান প্রায় একা একা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন অবরোধের মধ্য দিয়েই করোনার ভয়াল প্রকোপ থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একজন ইরানিও যেন বলতে না পারে যে সে বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পেয়েছে।
করোনা আক্রান্ত প্রায় ৯০ শতাংশ রোগীর খরচ বহন করছে ইরান। ঋণ পরিশোধের সময় দুই বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে করোনা প্রতিরোধে।
এপ্রিলের শেষ দিকে ইরানে সংক্রমণ কমে আসতে শুরু করে। প্রায় কঠোর পরিশ্রম করে সেনাবাহিনী দেশের প্রতিটি অঞ্চলে অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তোলে। এ ছাড়া চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিক আত্মত্যাগে ইরান এই বিভীষিকা থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশ: বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে করোনা নিয়ন্ত্রণে। সামরিক বাহিনী, আলেমসমাজ ও শিক্ষিত শ্রেণিও যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এই দুর্যোগ মোকাবেলা করে যাচ্ছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে ইসলামি মূল্যবোধ ও অনুশাসন অনেকটাই সহায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ত্রাণ থেকে শুরু করে জানাজা, কাফন-দাফন ইত্যাদিতে রয়েছে আলেমসমাজের সরব উপস্থিতি।
সরকার এই দুঃসময়ে কৃষক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
করোনাভাইরাস রোধে ডাক্তার, প্যারামেডিকস, বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, কভিড-১৯ চিকিৎসায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ চলছে।
চাল, ডালসহ নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা ও বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছেন। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের মনিটরিং ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। স্কুল ও কোচিং বন্ধ রাখা এবং বাজারব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখার জন্য সব উপজেলায় একটি করে টাস্কফোর্স টিম অভিযান পরিচালনা করছে।
তেমনি সাধারণ ছুটি ঘোষণার ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি রোধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষত, দীর্ঘ ছুটির কারণে উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়া শ্রমজীবী মানুষের প্রয়োজন মেটাতে সরকার খাদ্য ও অর্থ সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি আশাব্যঞ্জকভাবে বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে স্বাস্থ্যসেবাসংক্রান্ত উপকরণ সরবরাহ এবং নিম্ন আয়ের মানুষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে এগিয়ে এসেছে।
বিশেষত বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের সেবায় দুহাত উজাড় করে এগিয়ে এসেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গত ১৭ মে উদ্বোধন হলো নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) চিকিৎসায় দেশের সর্ববৃহৎ ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্থায়ী হাসপাতাল।
দুই হাজার ১৩ শয্যার এই হাসপাতালটির নাম ‘বসুন্ধরা কভিড-১৯ আইসোলেশন হাসপাতাল’। দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর ও ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহানের উপস্থিতিতে হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।পরিশেষে, মহান আল্লাহ এই মহামারির কবল থেকে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করুন। আমিন। আল-কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব থেকে