মেঘনায় ট্রলারডুবির চারদিনেও মেলেনি নিখোঁজদের সন্ধান
নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের এখনো কোন সন্ধান মেলেনি। পাওয়া যায়নি নদীতে নিখোঁজ পাবনার ১৮ যাত্রীকে। ট্রলারডুবির চারদিনেও উদ্ধার কাজের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশ নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনেরা।
এদিকে উদ্ধার কাজে সকাল থেকে যুক্ত হয়েছে বিআইডব্লিউএ এর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এখন মেঘনার তলদেশে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, দমকলবাহিনী ও বিআইডব্লিউটিএ এর ডুবুরীদল। ট্রলার ডুবির ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন।
তবে ট্রলার উদ্ধারের পরেই কমিটি কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গজারিয়া থানার ওসি মো. হারুনুর রশিদ জানান, ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজদের মরদেহ ট্রলারের কেবিনে আটকা পড়ার কারণে ভেসে উঠতে পারছেনা। গত মঙ্গলবার ভোর রাতে গজারিয়ার কালিপুরা এলাকায় মেঘনায় মাটি বোঝাই ট্রলারটি তেলবাহী ট্যাংকারের ধাক্কায় ডুবে যায়।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার নিখোঁজ ১৮ জন হলেন, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মুন্ডুমালা গ্রামের গোলাই প্রামানিকের ছেলে ছোলেমান হোসেন, জব্বার ফকিরের ছেলে আলিফ হোসেন ও মোস্তফা ফকির, গোলবার হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন-১, আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ হোসেন, নুর ইসলামের ছেলে মানিক হোসেন, ছায়দার আলীর ছেলে তুহিন হোসেন, আলতাব হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন-২, লয়ান ফকিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম, দাসমরিচ গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ওমর আলী ও মান্নাফ আলী, তোজিম মোল্লার ছেলে মোশারফ হোসেন, আয়ান প্রামানিকের ছেলে ইসমাইল হোসেন, সমাজ আলীর ছেলে রুহুল আমিন, মাদারবাড়িয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আজাদ হোসেন, চন্ডিপুর গ্রামের আমির খান ও আব্দুল লতিফের ছেলে হাচেন আলী এবং উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের তোফজ্জল হোসেনের ছেলে রহমত আলী।
এদিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মুন্ডুমালা, মাদারবাড়িয়া, চন্ডিপুর ও দাসমরিচ গ্রাম পরিণত হয়েছে শোকের গ্রামে। উপার্জনক্ষম স্বামী হারিয়ে আহাজারী থামছে না স্ত্রীর। আর নিখোঁজ সন্তানের চিন্তায় বাবা-মা’র বুক ফাটা আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে গ্রামের বাতাস। কেউ বাকরুদ্ধ, কেউবা মুর্ছা যাচ্ছেন বারবার। তাদের স্বান্তনা দিতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না প্রতিবেশিরাও। নি:স্ব পরিবারগুলো দিশেহারা ভবিষ্যত চিন্তায়।