রংপুরে আওয়ামী লীগের বহুল প্রতীক্ষিত সম্মেলন মঙ্গলবার
রংপুর : আজ রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। বহুল প্রতীক্ষিত এই সম্মেলন ঘিরে পুরো নগর জুড়ে শোভা পাচ্ছে ফেস্টুন, ব্যানার আর বিলবোর্ড। তের বছর পর রংপুর জেলা ও নয় বছর পর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে। বহুল প্রতীক্ষিত সম্মেলন ঘিরে উজ্জ্বীবিত দলের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে সম্মেলন সফল করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
(২৫ নভেম্বর) দুপুরে সম্মেলনস্থল ঘুরে দেখা গেছে আয়োজন প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দলের নেতারা।
এদিকে সস্মেলনকে ঘিরে সভা কিংবা যে কোনো কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। সবার মধ্যে বিরাজ করছে চাঙ্গা ভাব। আর পদপদবি প্রত্যাশী নেতারা তাকিয়ে আছেন কাউন্সিলরদের দিকে। কেউ কেউ কেন্দ্রের নজরে থেকে নিজের পদ পাকাপোক্ত করতে শেষ মূহুর্তেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও নতুনরা চাইলেন কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হোক নতুন নেতৃত্ব।
কে হচ্ছেন নতুন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক। একই দিনে জেলা ও মহানগরের সম্মেলনকে ঘিরে দুই মেরুতেই একই চিন্তা চেপে বসেছে সবার মাথায়। নেতৃত্বের জায়গা পেতে জেলা ও মহানগরের অন্তত দেড় ডজনের বেশি নেতা তৎপরতা চালাচ্ছেন। তাদের দাবি প্রতিহিংসা নয়, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে উঠে আসবে যোগ্য নেতৃত্ব।
এদিকে দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ এবং ত্যাগীদের গুরুত্ব দিতে চান তৃণমূলের কর্মীরা। বিশেষ করে কাউন্সিলররা চাইছেন ভোটের মাধ্যমেই বের করা হোক নতুন নেতৃত্ব। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের সিলেকশনেও হতে পারে নতুন কমিটির নেতা নির্বাচন।
সম্মেলন প্রস্তুতির ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু বলেন, সম্মেলন সফল করতে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অর্থ উপ-কমিটি, মঞ্চ-সাজসজ্জা ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটি, আপ্যায়ন উপ-কমিটি, অভ্যর্থনা উপ-কমিটি, প্রচার উপ-কমিটি, দপ্তর উপ-কমিটিসহ ৬টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও নেতাকর্মীদের মাঝে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।
(২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিএম মোজাম্মেল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এরপর দুপুরে টাউন হলে জেলার প্রায় সাড়ে তিনশ কাউন্সিলরের ভোট কিংবা মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।