রাশিয়ার চিঠিতে স্বস্তি দুনিয়ার, আসছে করোনার যম অ্যাভিফ্যাভির
বিদেশ : একটি স্বস্তিদায়ক বার্তা-চিঠি, তাতেই আলেড়িত দুনিয়া। মস্কোভা নদীর তীর থেকে গোটা দুনিয়ার ছড়িয়ে পড়েছে অদৃশ্য করোনা ঘাতকের যম-একটি ওষুধের নাম। অ্যাভিফ্যাভির নামে এই ওষুধ করোনা রোগীর উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশাতীত সফলতা মিলেছে।
জানাচ্ছে রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রুশ সংবাদ সংস্থা ‘তাস’ এবং ব্রিটিশ সংস্থা রয়টার্সের খবর, আগামী সপ্তাহ থেকে ওই ওষুধ দিয়ে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শুরুর প্রস্তুতি চলছে রাশিয়ায়। রাশিয়ায় অ্যাভিফ্যাভির ওষুধ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সারিয়ে তুলতে খুবই কার্যকর। ওষুধটি ব্যবহারের চারদিন পর ৬৫ শতাংশ রোগীর শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসেবে, রুশ দেশে করোনার প্রবল সংক্রমণ হচ্ছে। ৪ লক্ষ ১৪ হাজারের বেশি আক্রান্ত। সোমবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪,৮০০ পার করেছে। মস্কোতেই সর্বাধিক সংক্রমণ। করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে রাশিয়া প্রথম দশটি দেশের একটি। যদিও গত বছর ডিসেম্বর মাসে যখন চিনে প্রথম করোনার হামলা শুরু হয়, তারপর দ্রুত চিনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে রাশিয়া প্রথম দিকে করোনা মুক্ত হয়েইছিল।
ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে প্রবল মৃত্যুর সময়েও নিজেকে রক্ষা করেছিল রাশিয়া। পরে সেই প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে। এই মুহূর্তে রাশিয়ায় করোনার হামলা উদ্বেগজনক। এই অবস্থায় রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে অ্যাভিফ্যাভির ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হন। প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়ালে প্রত্যাশিত ফলাফল মিলেছে।
অ্যাভিফ্যাভির কি ?
এটি হচ্ছে জাপানে সংক্রামক জ¦রের প্রতিষেধক ফ্যাভিপিরাভিরের পরিবর্তিত একটি ওষুধ। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ফ্যাভিপিরাভিরের কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে অ্যাভিফ্যাভির তৈরি করেছে রাশিয়া। রুশ বিজ্ঞানীদের দাবি, অ্যাভিফ্যাভির কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ভালো প্রতিষেধক।
এর ফর্মুলা দ্রুত বিশ্বকে জানানো হবে। জুন মাসের মধ্যে রাশিয়ার সব হাসপাতালে সরবরাহ করা হবে। রুশ সরকার জানিয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের চূড়ান্ত ধাপে বর্তমানে ৩৩০ জন রোগীর ওপর এটি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আগামী ১১ জুন থেকে এই ওষুধ দিয়ে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শুরু হবে।