শীতে পা ফাটা রোধ করবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল : শীতে ত্বকের পাশাপাশি পা-ও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় পায়ের পাতার চামড়া খসখসে হয়ে যায়। কারও কারও আবার চামড়া ওঠে, এমনকী কেটেও যায়। তখন ফাটা জায়গায় ধুলোবালি-ময়লা ঢুকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া জুতায় সমস্যা থাকলেও অনেকের পা ফাটে। পায়ের চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শীতে ত্বক রক্ষ হয়ে গেলে অনেকে তেল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। কিন্তু পায়ের যতœ নিতে ভুলে যান। এ সময় পা ফাটা রোধে যা করতে পারেন-
ঝামা পাথর দিয়ে পা ঘষে নিন : প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে গরম পানিতে পা ভেজান। এবার একটু সাবান লাগিয়ে ঝামা পাথরে পা ভালো করে ঘষে নিন। এতে ত্বকের মরা কোষ, ময়লা সব উঠে আসবে। সেই সঙ্গে গোড়ালিও পরিষ্কার থাকবে।
শক্ত জুতো নয় : শীতকালে শক্ত জুতা ব্যবহার করা মোটেও ঠিক নয়। নরম শোলের জুতো পরুন। এ সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহারের চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে পায়ে মোজা ব্যবহার করুন। মোজা পরার আগে পায়ে কোনও ক্রিম লাগিতে নিয়ে পরুন।
লেবু ও গরম পানি : বালতির পানিতে লেবুর রস আর এক চিমটে খাবার সোডা মিশিয়ে তাতে পা ১৫ মিনিটের মতো ডুবিয়ে রাখুন। তবে পানি অতিরিক্ত গরম করা ঠিক নয়। এরপর একটা পিউমিক স্টোন দিয়ে পা পরিষ্কার করে ফেলুন। নিয়ম করে এটা করলে পা ফাটা অনেকটা কমে যাবে।
ভেজিটেবল অয়েল : পা ভালো করে ধুয়ে মুছে শুকিয়ে নিন। এবার ভেজিটেবল অয়েল বা নারকেল তেল ভালো করে লাগিয়ে নিন। মোজা পরে শুয়ে পড়ুন। এতে পা নরম হওয়ার পাশাপাশি ফাটা দাগও মিলিয়ে যাবে। শীতে প্রতিদিন এটা করতে পারলে উপকার পাবেন।
গোলাপজল আর গ্লিসারিন : গোলাপজল আর গ্লিসারিনের মিশ্রণ পায়ের ফাটা, চামড়ার ক্ষয় অনেকটাই সারিয়ে তুলতে পারে। কারণ গ্লিসারিন রুক্ষ শুকনো চামড়াকে নরম করে। এ ছাড়া গোলাপজলে থাকা ভিটামিন এ, বি৩,সি, ডি, ই আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পা মসৃণ করে তোলে।
কলা-মধুর মিশ্রণ : গরম পানিতে পা ডুবিয়ে সাবান দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। এবার পাকা কলা আর মধু দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার ওই পেস্ট পায়ে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে এলে গরম পানি দিয়েই ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুদিন করলেই খুব ভালো ফল পাওয়া যাবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!