শোবার ঘরের আলো ওজন বাড়ার কারণ!
লাইফস্টাইল: শোবার ঘরে বেশি আলোতে ঘুমানো ওজন বেড়ে যাওয়া ও মুটিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। শোবার ঘরে বেশি আলোতে ঘুমানোর সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়া ও মুটিয়ে যাওয়ার সম্পর্ক পাওয়া গেছে। তবে ঘর অন্ধকার করলেই যে ওজন কমতে শুরু করবে তেমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যেসব নারী শোবার ঘরে বেশি আলোতে ঘুমান, তাঁদের মধ্যে ‘ওবেসিটি’ বা মুটিয়ে যাওয়ার হার বেশি। গবেষকেরা প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার নারীর কাছ থেকে তাঁদের শোবার ঘরের পরিবেশ সম্পর্কে কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করেন। একই সঙ্গে তাঁদের বয়স, উচ্চতা, ওজনসহ স্বাস্থ্যবিষয়ক আরও তথ্য নেওয়া হয়েছে জরিপে অংশগ্রহণকারী নারীদের কাছ থেকে। লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসাচের্র গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসি এ সম্পর্কে জানিয়েছে। ঘুমানোর সময় শোবার ঘরে কতটা আলো থাকে তার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে নিচের পরিস্থিতি যাচাই করেÑ
১. শোবার ঘরের আলোয় বই বা পত্রিকা পড়া যায়।
২. ঘরের এদিক-সেদিক দেখা যায় কিন্তু পড়া যায় না।
৩. নিজের হাত দেখা যায় কিন্তু পুরো ঘর দেখা যায় না।
৪. নিজের হাতও দেখা যায় না বা কেউ চোখ ঢেকে ঘুমান।
লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসাচের্র অধ্যাপক অ্যান্থনি সুয়ার্ডলো বিবিসিকে বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক মানুষের ওপর চালানো এই জরিপে রাতের বেলায় বেশি আলোতে থাকার সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়া ও মুটিয়ে যাওয়ার একটা সম্পর্ক পাওয়া গেছে। তবে শোবার ঘর অন্ধকার করলেই যে আপনার ওজন কমতে শুরু করবে তেমন যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাতের বেলায় বেশি আলোতে থাকার সঙ্গে মুটিয়ে যাওয়া বা ওজন বেড়ে যাওয়ার ভিন্ন কোনো ব্যাখ্যাও থাকতে পারে। তবে, বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা করার ক্ষেত্রে এই ফলাফল যথেষ্টই উৎসাহব্যঞ্জক।’
আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমিওলজিতে প্রকাশিত এ গবেষণায় ওবেসিটি বা মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা পরিমাপ করতে বেশ কয়েকটি মানদ-ে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের তথ্য-উপাত্ত মিলিয়ে দেখা হয়।’বডি-ম্যাস-ইনডেক্স’ বা ‘উচ্চতা-ওজন-বয়স’ পদ্ধতি এবং ‘ওয়েস্ট টু হিপ রেশিও’ বা ‘কোমর ও নিতম্বের অনুপাত’ মানদ-ও বিবেচনা করা হয়েছে এ জরিপে। এতে দেখা গেছে, উভয় পদ্ধতির পরিমাপেই যে নারীরা শোবার ঘরে বেশি আলোতে ঘুমান, তাঁদের মধ্যে মুটিয়ে যাওয়ার হার বেশি।