সাঁথিয়ায় অপহরণকারী চক্রের ২ সদস্যকে মাইক্রোবাস সহ আটক
প্রতিবেদক, সাঁথিয়া : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার চতুরবাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলছিল অপহরণ আতঙ্ক। বহুল আলোচিত অপহরণকারী চক্রের ২ সদস্য কে আটক করেছে পুলিশ।আটককৃতরা হলেন বেড়া থানার মানিকআর দক্ষিনপাড়া গ্রামের গোলজার শেখের ছেলে সোহেল(২১),আমিনপুর থানার নয়াবাড়ি গ্রামের হাসেম মোল্লার ছেলে পিয়াম(২০।এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা অপহরণকাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, করমজা চতুরহাটের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা থেকে অপহরণ করা হতো। এরপর নির্যাতনের বরাত দিয়ে পরিবারের লোকজনের কাছে থেকে নেওয়া হয় মোটা অঙ্কের অর্থ। টাকা নিয়ে মুখ নাখুলতে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
উল্লেখ্যঃ গত ৩১ শে ডিসেম্বর ১৯ইং রাত ১১ টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ হয় চতুরবাজারের ব্যবসায়ী ভজন(৫৫) কে । অপহরণকারীরা চোখ বেধে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরানোর পর পাবনার ঢালারচর নামক স্থানে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের মুখে পরিবারের লোকজনকে মুঠোফোনের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবী করেন অপহরণকারীরা। এরপর ০১ জানুয়ারী ২০ইং দুপুরের দিকে তাকে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমন ঘটনার ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো গত ১৮ ই জানুয়ারী ২০ইং রাত ১০টার দিকে মুদি দোকান বন্ধকরে বাসায় ফেরার পথে করমজা ইউনিয়নের মল্লিকপাড়া খঢ়বাগানের সামনে থেকে অপহরণ করা হয় আরেক চতুর বাজারের ব্যবসায়ী জিকরুল(২৩)কে। স্বজনরা জানান, প্রতিদিনেরন্যায় সে দিনও বাসায় ফিরছিল । পথিমধ্যে, কিছু অপহরণ চক্রের সদস্যরা তাকে পথরোধ করে চোখ বেধে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর স্বজনদের মুঠোফোনে জিকরুলের ফোন থেকে ফোন দেয় অপহরণকারীরা। তাকে ছেড়ে দিতে মোটা অংকের অর্থ দাবী করে । না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় হয়। এরপর ১৯ জানুয়ারী ২০ইং সকালের দিকে তাকে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা অপহরণকারী গ্যাং এর সক্রিয় ২ সদস্যকে আটক করেছি।এরা এলাকা ও এলাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াতেন। আটককৃতদের বুধবার(২২ জানুয়ারী) পাবনা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করেছি।এই গ্যাং এর আরো সকল সদস্যকে আটক করতে সাঁথিয়া থানার অফিস ইনর্চাজ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে আমাদের একটি বিশেষ টিম নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।