সাঁথিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন শুরু
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার সাঁথিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে এক প্রেমিকা। সে ঢাকা মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারী কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্রী।
মেয়েটির নাম সাথী খাতুন। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সাঁথিয়া পৌরসভাধীন শালঘর গ্রামের জুলমত প্রামানিকের ছেলে প্রেমিক আল আমিনের বাড়িতে অনশন শুরু করে সাথী। সাথী জানায়, প্রায় তিন বছর আগে আল আমিনের সাথে তার পরিচয় হয়।
আল-আমিন তখন ঢাকাতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তো, পাশাপাশি বেসরকারি একাট কোম্পানিতে চাকরি করতো। বর্তমানে সে রাজশাহীতে সরকারি চাকরি করে। পরিচয় থেকে তাদের অবাধে মেলামেশা শুরু হয়।এদিকে ওই কলেজছাত্রীর প্রবাসী একটি ছেলের সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের দুই মাস পর স্বামী বিদেশ চলে গেলে আল আমিনের সাথে তার আবার যোগাযোগ ও মেলামেশা শুরু হয় । আল আমিনের কথায় তাকে তালাক দেয় সাথী। এমতাবস্থায় এক পর্যায়ে মেয়েটি বিয়ের জন্য আল-আমিনকে চাপদিলে গত শুক্রবার বিয়ের জন্য আলামিন ঢাকা কাজী অফিসে আসতে বলে তাকে।
মেয়েটি ঠিক সময়মত সেখানে অপেক্ষা করলেও কোন খবর নেই আল আামিনের।এ সময় তার মোবাইল ফোন বন্ধ প্ওায়া যায় । এমতাবস্থায় সে উপায় না দেখে সোজা পাবনার সাঁথিয়ায় প্রেমিকের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত ৯টার দিকে আল আমিনের বাড়িতে পৌঁছায় মেয়েটি।
জানা যায়, আল আমিনের পরিবার মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা বরে। মেয়েটি যেতে অস্বীকার করলে তাকে মারপিট করে ছেলের মা ও স্বজনেরা। কিন্তু মেয়েটি বলছে, বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাব না। মেয়েটি জানায়, আমি মরে যাব, তবু বিয়ে না করে যাব না।
এ ব্যাপারে খবর পেয়ে স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল খালেক লাল ওই বাড়িতে গেলে পলাতক আল আমিন মোবাইল ফোনে কথা বলে বিয়ে করতে সম্মত হয়। শনিবার সকালে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করার কথা বলে সে একটি মাইক্রোবাস পাঠায় তার বাড়িতে মেয়েটিকে নিয়ে আসার জন্য।
সাবেক কাউন্সিলর লাল বলেন, ওই গাড়িতে আল আমিন না থাকায় নিরাপত্তার কথা ভেবে মেয়েটিকে যেতে দেইনি।এখনও আলামিন পলাতক রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ওসি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জানার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। মীমাংসা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।