সাঁথিয়ায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারী সম্পত্তি উদ্ধারে গড়িমসি !
পিপ (পাবনা) : পাবনার সাঁথিয়ায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারী সম্পত্তি উদ্ধারে কর্মকর্তাদের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। সুত্র জানায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া গ্রামে প্রায় ১০ কোটি টাকা মুল্যের সরকারী সম্পত্তি জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে একটি চক্র দখল করে নেয়। স্থানীয় তহশীলদারের যোগসাশসে জালিয়াত চক্র ইতোমধ্যে ঐ জমির ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে মালিকানা দাবী করে আদালতে মামলা করে। কিন্তু বাদী পক্ষ মামলায় বারবার হেরে যায়। সম্প্রতি ঐ জমিতে বাদী পক্ষ ডিগ্রি পেয়েছে। তবে দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সরকারের তরফ থেকে আপীল করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে।
সুত্র আরও জানায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া গ্রামের জমিদার শ্যামাচরণ রায় দীর্ঘীদন আগে জমিদারীসহ ১ দশমিক ১৯ একর জায়গার উপর পুকুর এবং ১ দশমিক ৬ একর জমির উপর পাকা বাড়ী ফেলে চলে যান। যা বর্তমানে ইউনিয়ন তহশীল অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এই জমি ও পুকুর গ্রাস করার লক্ষ্যে একই গ্রামের জ্ঞানেন্দ্রনাথ তালুকদার, তার ছেলে উত্তম কুমার তালুকদার ও স্ত্রী সন্ধ্যারানী ভূতপুর্ব তহশীলদার ইরাদ মিয়া এবং রজব আলীর সহায়তায় জাল দলিল তৈরি করে তা গ্রাস করার অপচেষ্টা করে। ইতোমধ্যে কয়েকটি ভূয়া কাগজ তৈরির মাধ্যমে তারা মালিক সেজে প্রথমে সহকারী জজ আদালতে মালিকানা দাবী করে মামলা করে (মামলা নং২৬৮৫/৯২)। মামলায় তারা হেরে গেলে সাব জজ আদালতে আপীল করে। সেখানেও হেরে গেলে সর্বশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপীল করে এবং যথারীতি হেরে যায়। (নং ওসি এ সেকশন ৩৪/৯২)।
প্রত্যক্ষদর্শি মজিবর মিয়া পিপ‘কে জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসে সাঁিথয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফয়সল রায়হান ঐ পুকুরকে সরকারী সম্পত্তি দাবী করে সেখানে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেয় এবং পুকুরের ১০/১২ মন মাছও মারে। কিন্তু কয়েকদিন পরে কে বা কারা ঐ সাইন বোর্ড চুরি করে নিয়ে গেলেও কর্মকর্তারা এর প্রতিবাদ করেননি।
সুত্র জানায়, সরকার পক্ষের তদবীর না থাকায় সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে বাদী পক্ষ ডিগ্রি পেয়েছে। ডিগ্রি পাওয়ার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সরকারের তরফ থেকে আপীল করা হচ্ছেনা। স্থানীয়রা ক্ষেতুপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা সরকারের এই বিপুল সম্পত্তি জালিয়াত চক্রের হাত থেকে উদ্ধারের দাবী জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে তহশীলদার রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বার্তা সংস্থা পিপ‘কে বলেন, বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তারা কাজ করছেন। আমি এর চেয়ে বেশী কিছু জানি না।
সাঁথিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফয়সল রায়হান পিপ‘কে বলেন, এই জমির বিষয়ে আপীল করার জন্য সরকারের আইন বিভাগকে জানানো হয়েছে।