সামিকে বাঁচাতে প্রয়োজন আড়াই লাখ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাটমোহর : বছর খানেক আগে খাবার ভেবে ভুল করে ঘরে রাখা ইঁদুর মারা কীটনাশক (বিষ) খায় পাঁচ বছর বয়সী শিশু সামি হোসেন। এরপর শুরু হয় বমি ও শ্বাসকষ্ট। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সুস্থ হলে বাড়িতে ফিরে আসে সে। সমবয়সী শিশুদের সাথে খেলাধূলা করে বেশ ভালো সময় কাটছিল সামির। কিন্তু হটাৎ করেই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা। দেখানো হয় ডাক্তার। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে হৃৎপিন্ডে ছিদ্র ধরা পড়ে সামির। পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের খতবাড়ি গ্রামের দিনমজুর শাহীন হোসেন ও গৃহিনী শারমীনা খাতুনের ছেলের এমন রোগ ও চিকিৎসা খরচের কথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।
শাহীন হোসেন অশ্রুসিক্ত নয়নে জানান, স্থানীয় বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে এবং সহায় সম্বল যা ছিল সব বিক্রি করে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সামিকে। দুই লাখেরও অধিক টাকা ব্যায় করে অপারেশন হৃৎপিন্ডের অপারেশন করানো হয় শিশুটির। অপারেশন করেন ডা. শাহরিয়ার। এরপর সুস্থ হওয়ার পর সামিকে নিয়ে হাসিমুখে বাড়িতে ফিরে আসেন বাবা-মা। কিন্তু মাস দু’য়েকের মাথায় আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে সামি।
আবারও নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউট ও হাসপাতালে। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বেশ কয়েকদিন আইসিইউতে ভর্তি রাখতে হয় তাকে। এবার চিকিৎসক পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বলেন জীবাণুতে আক্রান্ত হয়ে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়েছে সামির হৃৎপিন্ডে। তাকে বাঁচাতে হলে পুনরায় অপারেশন করাতে হবে। এরজন্য আবারও লাগবে আড়াই লাখ টাকা। সামির চিকিৎসকের এমন কথা শুনে হতাশ হয়ে পড়েন বাবা-মা। ফিরে আসেন বাড়িতে। এদিকে বাড়ি ফেরার পর সুদে কারবারিরা চেপে ধরে টাকার জন্য।
এদিকে ছেলের চিকিৎসা করানো, সুদে কারবারিদের টাকা শোধ করা এমন চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি। দুই শতক জায়গার ওপর একটি টিনের ছাপড়া ঘর ছাড়া কোন সম্পদ নেই দরিদ্র পরিবারটির। অপরদিকে ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে সামি। মুখ থেকে হারিয়ে গেছে হাসি। কিছুই খেতে পারছে না শিশুটি। শুকিয়ে যাচ্ছে শরীর। তবে ছেলের এমন করুণ পরিণতি কিছুতেই মানতে পারছেন মা-বাবা। সামিকে বুকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদছেন তারা।
শারমীনা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে (সামি) নিষ্পাপ শিশু। ও তো কোন অন্যায় করেনি। আমরা গরীব মানুষ। গরীবের ঘরের ছেলের এমন অসুখ হলে বাঁচকে কীভাবে? আমাদের পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা অসম্ভব ব্যাপার। তবে কি আমাদের ছেলে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে?’ সামিকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
সামির চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করতে চাইলে এই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে- বাবা শাহীন হোসেন- ০১৭৫৩৬১৩৮৪৯ (বিকাশ পার্সোনাল)।