গণধর্ষণের পর কিশোরীকে বিষপান করিয়ে হত্যার অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্ট : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পলি খাতুন (১৩) নামে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর বিষপান করিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের যুগ্নীদহ মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার সকালে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত পলি ওই গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। স্থানীয়রা জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছু আগে বাড়ির পাশের ক্ষেতে পলি শাক তুলতে যায়। এ সময় তাকে একা পেয়ে একই গ্রামের আ. রাজ্জাকের ছেলে আতিক (১৫), শহিদের ছেলে মনিরুল (১৫), আক্তার হোসেনের ছেলে নাহিদ (১৮) তাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে কিটনাশক খাইয়ে দেয়। সন্ধ্যার পর বাড়িতে গিয়ে পলি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বাবা-মার কাছে সব খুলে বলে। পরিবারের লোকজন প্রথমে তাকে পোতাজিয়া পরে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। নরিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মন্ত্রী বলেন, মেয়েটিকে গণধর্ষণের পর বিষপান করানো হয়েছে বলে শুনেছি। শাহজাদপুর থানার ওসি খাজা গোলাম কিবরিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরীর মৃত্যু সন্দেহজনক। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে এসিডে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় মুরশিদা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূকে মারধর করে তাঁর শরীরে ‘এসিড’ নিক্ষেপ করেছেন স্বামী আবু হানিফ। মুরশিদার পরিবার এই অভিযোগ করেছে। মুরশিদাকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। মুরশিদা কামারখন্দের কাচারিপাড়া ভদ্রঘাট গ্রামের গোলাম হোসেনের মেয়ে ও একই উপজেলার মেগাই ভদ্রঘাট গ্রামের আবু হানিফের স্ত্রী। গৃহবধূর বাবা গোলাম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রায় তিন বছর আগে আবু হানিফের সঙ্গে মুরশিদার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় এক ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো। এর মধ্যে তাঁদের সংসারে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। আবু হানিফ মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নিতেন। মেয়ের সংসারের কথা চিন্তা করে সাধ্য মতো তা দিতেন গোলাম হোসেন। ১৫ দিন আগেও ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি নতুন টিনের ঘর তুলে দিয়েছেন তিনি। গোলাম হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে আবু হানিফ মুরশিদাকে ব্যাপক মারপিট করে। এর একপর্যায়ে অ্যাসিড দিয়ে তাঁর শরীরের নিচের অংশ ঝলসে দেন। খবর পেয়ে আমি, আমার স্ত্রী ও আমার দুই ভাই আবু হানিফের বাড়ি গেলে সে ও তার পরিবার আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ভাই মতিউর রহমান ও ইমরান হোসেন আহত হয়। পরে মুরশিদাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শামীমুল ইসলাম বলেন, মুরশিদা খাতুনকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁর শরীরের নিচের অংশে ঝলসে গেছে। এটি এসিডের কারণে হয়েছে না অন্য কিছুর দ্বারা হয়েছে তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে পরিবারের দাবি, গৃহবধূর স্বামী তাঁকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দিয়েছে। কামারখন্দ থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম বলেন, অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে কি না সে বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।