স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

এফএনএস: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের মোড়লহাট গ্রামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বর্তমানে সে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ে কারাগারে রয়েছেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা ও ভাই। তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসার পথে অপহরণ ও ধর্ষণের সংঘবদ্ধ শিকার হয় সে। জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী থেকে জেলা শহরে আসার সময় একই এলাকার আসলাম, বাবুলসহ ৫-৬ জন তার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে অপহরণ করে। পরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে অজ্ঞান হয়ে যায় ওই স্কুলছাত্রী। এরপর রাত ১২টার দিকে জেলা সদরের শ্রী কৃষ্টপুর ইক্ষু খামারে স্থানীয়রা তাকে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। গতকাল শনিবার হাসপাতালের বেডে শুয়ে সে সাংবাদিকদের জানায়, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে প্রতিবেশী চাচারা তার বাবা ও ভাইকে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। তাদের দেখতে আসার সময় ‘সেই চাচারা’ তার অটোরিকশায় উঠে গলায় ছুরি ধরে। পরে মাথায় আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে সে দেখে একটি ঘরে ৬ জন তাকে ঘিরে ধরে আছে। এ সময় তাদের যৌন নির্যাতনে সে আবার জ্ঞান হারায়। তারপর জ্ঞান ফিরলে সে দেখে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার মা বলেন, আমাদের বাড়িতে কোনো পুরুষ নেই৷ দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে পলাতক, আরেক ছেলে ও স্বামী জেলখানায়। গত শুক্রবার মেয়েটা তাদের দেখতে এসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এখন কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স জানান, নির্যাতনের ফলে ভিকটিমের যৌনাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত য়েছে। সেখানে ৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথায় আঘাত করায় সেখানেও ক্ষত হয়েছে এবং পেটেও ছুরির আঘাত রয়েছে। বালীয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ বা এজাহার পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভিকটিমের বাড়ি বালীয়াডাঙ্গী থানার মধ্যে কিনা তা জানতে আমাদের কর্মকর্তা সেখানে গেছেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!