স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পাবনায় জনসংযোগে সবুজ

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় বিভিন্ন স্থানে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগণের করণীয়’ নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে জনসংযোগ, মতবিনিময়, আলোচনা সভা করছেন কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক আশিকুর রহমান খান সবুজ। শুক্রবার দিনব্যাপী পাবনা জেলার সুজানগর, চব্বিশ মাইল, মসজিদ পাড়া ও বেড়া উপজেলার কাজির হাট, আমিনপুর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে দ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জনসচেতনতা মুলক কাজ করছেন সাবেক কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের এ নেতা। এসময় সুজানগর ও বেড়া উপজেলা বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র অংশ গ্রহন করেন।
মতবিনিময় কালে আশিকুর রহমান সবুজ স্মার্ট বাংলাদেশের কনসেপ্ট তুলে ধরে বলেন, ১৪ বছর আগে ঘোষিত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অভাবনীয় সফলতা আসার পর এখন বর্তমান সরকার ভিশন : ২০৪১ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষনা দিয়েছে এবং কাজ শুরু করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জনগণের ব্যাপক ভুমিকা থাকবে । স্মার্ট বাংলাদেশে গড়তে সরকারের চারটি মুল স্তম্ভ হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি।
স্মাট সিটিজেন হবে: সুশিক্ষায় শিক্ষিত, দেশ প্রেমিক, শান্তিপ্রিয়, উদ্যোমী, আতœপ্রত্যয়ী, নম্র, বিজ্ঞান মনোস্ক, প্রযুক্তিবান্ধব, প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্থএবং নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ।
স্মার্ট গভর্নমেন্ট হবে-দুর্নীতিমুক্ত, দায়িত্বশীল, জবাবদিহিতা মুলক, দক্ষ, সুশাসনে অভিজ্ঞ।
স্মার্ট সোসাইটি হবে- দারিদ্রমুক্ত, সহযোগীতা মুলক,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমৃদ্ধ, উন্নত মানষিক উৎকর্ষতাপূর্ণ।
স্মার্ট ইকোনমি হবে- উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অত্যাধুনিক পাওয়ার
গ্রিড, গ্রিন ইকোনমি, দক্ষতা উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং পেশা, নগরউন্নয়ন, ম্যাগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার সরকার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী ট্যানেল, রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পসহ মেগা প্রজেক্টগুলোর সফল বাস্তবায়ন করে এবং বিশ্বমন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনীতি রেখে।
স্মার্ট ভিলেজের অন্যতম উপাদান স্মার্ট এগ্রিকালচার। স্মার্ট এগ্রিকালচারের জন্য ন্যানো টেকনোলজি এবং এআই ব্যবহার করে পরিকল্পনামাফিক কোনো জমিতে কতটুকু সার ও ওষুধ প্রয়োজন তা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। যাতে কম খরচে উৎপাদন দ্বিগুণ করা যাবে। আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা ছাড়া খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব হবে না। এবং তা করতে হলে স্মার্ট এগ্রিকালচারের বিকল্প নেই। স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজের বাস্তবায়নের জন্য, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন, স্মার্ট হসপিটালিটিজ, স্মার্ট নগর প্রশাসন, স্মার্ট জননিরাপত্তা, কৃষি ইন্টারনেট, ডিজিটাল কানেকটিভিটি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাপ্রয়োজন।
শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জনগণের ভুমিকার কোন বিকল্প নাই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হয়ে গর্বিত হতে চাই।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!