হলুদ হাসিতে স্বপ্ন দেখছে কৃষক ; ফুলে ছেয়ে গেছে সরিষার মাঠ
নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : শীতের আগমনী বার্তায় মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে সৌন্দর্য মতি সরিষা ফুল। গ্রাম অঞ্চলের দিগন্ত মাঠ সেজেছে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহে। সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ।
অগ্রহায়ণের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। সেই ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি বাম্পার ফলনের হাত ছানিতে কৃষকের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। মাঠের দৃষ্টিজুড়ে শুধুই হলুদের সমারোহ। সরিষার মাঠে এর মধ্যে দেখা মিলছে মৌমাছির মধু আহরণের দৃশ্য।
দেশের অন্যতম একটি তৈল জাতীয় খাদ্যের নাম সরিষা। চলতি মৌসুমে পাবনার গ্রাম অঞ্চলের মাঠে ছেয়ে গেছে সরিষার হলুদ ফুলে । বেড়ে ওঠা গাছ আর ফুল দেখে অধিক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন পাবনার সরিষা চাষীরা। গত বছর স্থানীয় বাজারে উন্নত জাতের সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবারও সরিষা চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে পড়েছে। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো আবাদ করা যায়। এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের চরকোমরপুর গ্রামের সরিষা চাষি হাবিল জানান, এ বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি এবার গাছ ভালো হয়েছে আশা করছি বাম্পার ফলন হবে। সরিষা রোপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। এ সরিষা উত্তোলন করে ফের বোরো আবাদ করতে পারেন বলে এটাকে কৃষকরা ‘লাভের ফসল’ হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সরিষার ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভাল পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি আগামী বছর সরিষা চাষে আরো অনেকেই ঝুঁকে পড়বে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন গত বছর ৬৫০০ শ হেক্টর জমিতে সরিষা হয়েছিল এবার ভিভিন্ন জায়গায় ডিপ বন্ধ থাকায় সরিষা আবাদ বেড়েছে। এবং পাবনা সদরে ১৮শ কৃষককে বিনা মূল্যে সার ও বিজ দেয়া হয়েছে। তবে মধু চাষীরা থাকলে ফলন আরো ভাল হবে।