হাসিতে স্লেজিংয়ের জবাব দিতেন টেন্ডুলকার !
স্পোর্টস: স্লেজিং করা হয় মাঠে রাগিয়ে দিতে। মনোসংযোগ নাড়িয়ে দিতে। অস্থির করে তুলতে। অস্থিরতা থেকে ভুল করে বসেন অনেক। কিন্তু শচিন টেন্ডুলকারের ক্ষেত্রে কাজে লাগেনি সেই টোটকা। সাবেক পাকিস্তানি কিপার রশিদ লতিফ জানাচ্ছেন, টেন্ডুলকারকে স্লেজিং করলে তিনি জবাব দিতেন হাসিতে। মাঠে স্লেজিংয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা থাকে কিপারদের।
লতিফও খেলোয়াড়ী জীবনে কম করেননি এসব। কিন্তু টেন্ডুলকারকে স্লেজিং করার ক্ষেত্রে যে বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটি তিনি শোনালেন ইউটিউব ভিডিওতে। “ ব্রায়ান লারা হোক বা রিকি পন্টিং কিংবা জ্যাক ক্যালিস, কিপিং করার সময় আমি সবসময়ই ভাবতাম তাদেরকে আউট করা নিয়ে। টেন্ডুলকারের আচরণ ছিল সবচেয়ে আলাদা। উইকেটের পেছন থেকে যদি কিছু বলতাম, সে কখনোই জবাব দিত না বা পাল্টা কিছু বলত না। স্রেফ হাসতে থাকত।” এজন্যই সবাই টেন্ডুলকারকে শ্রদ্ধা করতেন, বলছেন লতিফ।
পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের এক্ষত্রে মনে পড়ছেৱ ভারতের আরেক সাবেক অধিনায়কের কথাও। “ অন্যরা প্রতিক্রিয়া দেখাত, কিন্তু শচিন ও মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন নয়। এই কারণেই সবাই টেন্ডুলকারকে খুব শ্রদ্ধা করেন, বিশেষ করে কিপাররা। সে সেঞ্চুরি করত, বোলারদের আক্রমণ করত, কিন্তু কখনো একটি শব্দও বলত না মুখে। কিপাররা চেষ্টা করত তাকে বিরক্ত করতে যেন আউট করা যায়, কিন্তু সে কখনোই প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।”
সম্প্রতি আরেক সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার সাকলায়েন মুশতাকও বলেছেন টেন্ডুলকারকে স্লেজিং করতে গিয়ে বিব্রত হওয়ার কথা। “ ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে তাকে স্লেজিং করতে গিয়ে পরে আফসোস করতে হয়েছিল।
আমি কিছু বলেছিলাম তাকে। সে এসে বলেছিল, ‘আমি তো তোমাকে বাজে কিছু বলিনি, তুমি কেন বলছো?’ আমি এতটাই বিব্রত হয়েছিলাম যে তাকে কিছু বলতে পারিনি।”