২০১৮ সালে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার বিশ্ববাসী
ডেস্ক রিপোর্ট : ২০১৮ সালে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার বিশ্ববাসী। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, সুনামি আর দাবানলে বিপর্যস্ত হয় লাখো মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এমন বিপর্যয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্প, সুনামি: ২৮ সেপ্টেম্বর এ বছরের সবচেয়ে বড় দুর্যোগের মুখে পড়ে ইন্দোনেশিয়া। সুলাওয়াসি দ্বীপে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামিতে প্রাণ হারায় দুই হাজারের বেশি মানুষ। সবশেষ ২১ ডিসেম্বর সুন্দা প্রণালীর উপকূলে ক্রাকাতাও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর সুনামিতে মৃতের সংখ্যা চার শতাধিক। ৫ আগস্ট লমবক দ্বীপে ভূমিকম্পে ৫৫৫ জনের মৃত্যু হয়। গৃহহীন হয় প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্র ও গ্রিসে দাবানল: ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে প্রাণ গেছে ১০৪ জনের। ৮ নভেম্বর দাবানল ক্যাম্প ফায়ার থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে পুড়ে যায় এক লাখ ৫৩ হাজার একর এলাকা। গ্রিসের এথেন্সে দাবানলে মারা যায় শতাধিক।
এশিয়া ও ইউরোপের দাবদহ: দাবদহের কারণে প্রাণহানিও কম নয়। এশিয়ার বেশকটি দেশে সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। জুলাইয়ে জাপানে মারা যায় ৮০ জন। মে মাসে পাকিস্তানের করাচিতে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়। কানাডার কুইবেকে দাবদাহে মৃত্যু হয় ৭০ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘূর্ণিঝড়: ১৯৬৯ সালের পর, ৭ অক্টোবর সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় মাইকেলের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয় ফ্লোরিডাসহ অ্যালাবামা, জর্জিয়া, ভার্জিনিয়া ও ক্যারোলাইনা রাজ্য।
এশিয়ার অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ: সেপ্টেম্বরে ফিলিপাইনে টাইফুন মংখুতের আঘাতে একশ জনের মৃত্যু হয়। ১৬ নভেম্বর, ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলে ঘূর্ণিঝড় গজের আঘাতে প্রাণ হারায় ৬৩ জন। গৃহহীন হয় প্রায় চার লাখ মানুষ। কেরালার ১শ বছরের ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ হারায় সাড়ে তিনশ মানুষ। গৃহহীন ৮ লাখ। ভূমিধসে মৃত্যু হয়, ১৮৬ জনের। ২ ও ৩ মে উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ও পাঞ্জাবে ধূলিঝড় ও বজ্রপাতে মৃত্যু ১২৭ জন। জুলাইয়ে জাপানে বন্যা- ভূমিধসে প্রাণ যায় দুইশো মানুষের। লাওসে বাঁধ ধসে মারা যায় ৩ শতাধিক।
পাপুয়া নিউগিনির ভূমিকম্প: পাপুয়া নিউগিনিতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রাণ হারায় অন্তত ১৬০ জন।
বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, বৈশ্বিক উষ্ণতা এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা হলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার শেষ সুযোগও হাতছাড়া করবে বিশ্ববাসী।