২৪ ঘণ্টায় পাবনায় করোনায় ৩ জনের মৃত্যু : নতুন আক্রান্ত ১৮৬
পিপ (পাবনা) : পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় জেলায় ১৮৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। জেলার ২৪ আড়াই‘শ শয্যার এই হাসপাতালটির ১০০ শয্যার করোনা ইউনিটে বর্তমানে ১১২ জন রোগী ভর্তি আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে আগামী দুই একদিনের মধ্যে হাসপাতালে কমপক্ষে ১৫০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হবে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী বার্তা সংস্থা পিপ‘কে বলেন, করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় প্রতিদিন বাড়ছে নতুন রোগী। তিনি বলেন, করোনা রোগীদের জন্য শয্যা সংখ্যা বাড়াতে ইতোমধ্যে হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগ হাসপাতালের নার্সিং ইউনিটে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
এদিকে হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ সামলাতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হলেও হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চিকিৎসা দিতে অতিরিক্ত চিকিৎসক না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ডা. সালেহ মোহাম্মদ জানান, মাত্র ১০ জন ডাক্তার দিয়ে শিফটিং ডিউটি করে ১০০ শয্যার করোনা ইউনিট চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অতিরিক্ত শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হলেও নতুন করে কোনো ডাক্তার না পাওয়ায় সীমিত সংখ্যক চিকিৎসক দিয়ে বিপুল পরিমান রোগীর সেবা দিতে আরও হিমশিম খেতে হবে।
তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত রোগীর করোনা চিকিৎসার জন্য ৩৬ জন ডাক্তার ও ৮০ জন নার্সের চাহিদা দেয়া হলেও এখনও কোনো ডাক্তার নিয়োগ পাওয়া যায়নি। তবে ৬৩ জন নতুন নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে করোনা রোগীদের জন্য হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখনও শেষ হয়নি হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের কাজ। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
ডা. সালেহ মোহাম্মদ জানান, করোনায় যে তিন জন মারা গেছেন সবাই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় হাসপাতালে এসেছিলেন, তাদের অক্সিজেন লেভেল অনেক নিচে থাকায় করার কিছুই ছিল না।
পাবনা জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনায় এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ১৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া, গত এক সপ্তাহে ১৬৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় সংক্রমর হার ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বার্তা সংস্থা পিপ‘কে বলেন, এ পর্যন্ত একজন রাশিয়ান নাগরিকসহ করোনায় ৩৪ জন মারা গেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘বিপুল সংখ্যক করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে করোনা ইউনিটের শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।’
Spread the love