৫২ বছর যাবৎ আলুর মতো গুটি গুটি রোগে ভুগছে জলিল
রানা আহমেদ, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আব্দুল জলিল (৬৫) নামের একজন আলু মতো গুটি গুটি রোগে ভুগছেন অনেক দিন যাবৎ। আব্দুল জলিলের দুই হাত-পাসহ সমস্ত শরীরে আলুর মতো গুটি-গুটি সৃষ্টি হয়েছে। ১৩ বছর বয়সের পর থেকে দুই-একটা করে সাড়া শরীরে আলুর মতো গুটি গুটি সৃষ্টি হতে থাকে।
আব্দুল জলিলের ৫২ বছর যাবৎ সে তার জটিল এ রোগে ভুগছেন। অনেক ডাক্তার, কবিরাজ দেখানোর পরও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় চিকিৎসার আশা ছেড়ে দিয়েছেন জলিল মিয়ার পরিবারের লোকজন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার মধুরাপুর গ্রামের মৃত মকরম আলী (প্রামানিক) এর ছেলে আব্দুল জলিল। ১৩ বছর বয়স থেকে দুই একটা শরীরে ছোট বড় আলুর মত গুটি গুটি দেখা দেয়। যা স্থানীয় অনেক ডাক্তার এবং কবিরাজকে দেখানো হয়েছে। কিন্তু এ রোগের কোন প্রতিকার না পেয়ে বরং গুটি গুটি বস্তগুলো ধীরে ধীরে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পরে এবং আলুর মতো আকার ধারণ করে। বর্তমানে শরীরের এমন কোন স্থান নাই যেখানে এ ধরনের গুটি নাই।
এ ব্যাপারে আব্দুল জলিল বলেন, আমার ১৩ বছর বয়স থেকে শরীরে গুটি গুটি দানা সৃষ্টি হয়। যা এখন শরীরের সমস্ত জায়গা জুড়ে নিয়েছে। আমি গরীব বলে ভাল কোন চিকিৎসা নিতে পারি নাই। তখন তেমন কোন ভাল ডাক্তারও ছিল না। তাছাড়া ওই সময় উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজলভ্য ছিলনা। ফলে স্থানীয় কবিরাজের শরাণাপন্ন হই। এতে রোগ নিরাময় না হয়ে আরো বাড়তে থাকে। এ রোগে গত ৫২ বছর যাবৎ ভূগছি। এখন আমি চিকিৎসার আশা ছেড়েই দিয়েছি। তবে সমাজের কোন সদয় বিত্তশালী ব্যক্তি যদি আমাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়া দেন। অথবা দেশবরেণ্য চিকিৎসকেরা একটু আমার প্রতি সহানুভূতিশীল হন তাহলে হয়তো আমার এই রোগ নিরাময় হলে হতেও পারে।
এ ধরনের গুটি শরীরে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে প্রসঙ্গে জলিল বলেন, গরমের সময় শরীরে কোন কাপড় রাখা যায় না খালি শরীরে ভাল লাগে। শীতকালে হালকা কাপড় ব্যবহার করা গেলেও খালি রোদে থাকতে ভাল লাগে। জলিলের ধারনা, সরকারীভাবে তার এ রোগটি নির্ণয় বা পরীক্ষা করা গেলে তা প্রকৃতপক্ষে সনাক্ত হতে ও চিকিৎসা মিলতে পারে।