গাজনার বিলে বাঁশের বাঁধ ও সোঁতিজাল দিয়ে মাছ শিকার
সুজানগর (পাবনা) সংবাদদাতা: সরকারের জলমহাল বন্দোবস্ত নীতিমালাকে উপেক্ষা করে পাবনার সুজানগরের ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলে অবৈধ বাঁশের বাঁধ ও সোঁতিজাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে একদিকে শুষ্ক মৌসুমে বিলে মাছের আকাল দেখা দিতে পারে।
অন্যদিকে ওই বাঁধের কারণে পানি প্রবাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বিল পাড়ের জমিতে যথাসময়ে রবি ফসল আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশাল গাজনার বিলে ১২টি জলমহাল রয়েছে। এসব জলমহাল উপজেলার ১২টি মৎস্যজীবী সমিতির মাঝে বাংলা ১৪২১সাল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী উম্মুক্ত ওই সকল জলাশয়ে কোন প্রকার বাঁধ না দিয়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মাছ শিকার করতে হবে। সেই সঙ্গে মা মাছ শিকার করা যাবেনা। কিন্তু মৎস্যজীবী সমিতি গুলো কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিলের ১০/১৫টি পয়েন্টে অবৈধ বাঁশের বাঁধ ও সোঁতিজাল দিয়ে ছেঁকে মাছ শিকার করছে।
বিলপাড়ের বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, অবৈধ ওই জালে মা মাছের পাশাপাশি পোনা মাছ পর্যন্ত ধরা পড়ছে। এতে শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই বিলে মাছের আকাল দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বাঁধের কারণে পানি প্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বিলপাড়ের হাটখালী গ্রামের কৃষক আবদুল জলিল বলেন অবৈধ বাঁধের কারণে ঠিকমতো পানি বের না হওয়ায় বিলপাড়ের জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে চলতি রবি মৌসুমে ওই সকল জমিতে যথা সময়ে পিঁয়াজ, মাশকালাই গম এবং বোরো ধানসহ অন্যান্য রবি ফসল আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন বিলে বাঁধ বা সোঁতি জাল দিয়ে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সুতরাং যে সকল সমিতি বাঁশের বাঁধ ও সোঁতি জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।