ভাঙ্গুড়ায় নদী থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি!
মানিক হোসেন, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া গুমাণী ও বড়াল নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার ও ভ্যাকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে ইটভাটায় বিক্রি করছে এলাকার প্রভাবশালীরা। দীর্ঘ দিন ধরে তারা উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকে অবাধে নদীর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রকাশ্যেই। রোববার ও সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে বড়াল এবং গুমাণী নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে ছোট-বড় ট্রাক বোঝাই করে ইটের ভাটা সহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসন ও পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,বর্ষায় নদীতে প্রবল ¯্রােত থাকলেও শুষ্ক মওসুমে নদী বক্ষের অনেকাংশে পলি জমে পানি শূন্য হয়ে পড়ে। ঠিক তখনই নদী থেকে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন দলীয় প্রভাবশালীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মীকে জানান,কিছু দুর্বৃত্ত নদীর সৌন্দর্য ও গতি প্রবাহ বিনষ্ট করছে। বড়াল ও গুমানী নদীর চরের ফসলি জমিও কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। বরং তারা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ ব্যবসা করে। মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলেও তারা জানান। এতে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে এই অপরিকল্পিত ভাবে মাটি কাটার ফলে বর্ষায় মওসুমে বড়াল ও গুমাণী নদীর পার্শ্ববর্তী সড়ক,বসতঘরবাড়ি ও জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে পড়ার আশংকা রয়েছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম জহুরুল হক বলেন,‘নদী দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের,আমাদের নয়’।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাছুদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।